নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল দখলমুক্ত করতে স্থানীয় এলাকাবাসী সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের শাহ চিল্লাপুর সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ও পাঁচপীর দরগার পাশ দিয়ে নয়াগাঁও পর্যন্ত বয়ে চলা খালটি মাধবপুর গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া বাঁধ দিয়ে দখল করেছে। এছাড়া ডেমিন নামের একটি রং কারখানা খালের উপর স্থাপনা তৈরি করে উৎপাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। খালটি ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় নয়াগাঁও, ভাগলপুর, বাবরকপুর, কাজীরগাঁও, সোনাখালী সহ প্রায় দশ গ্রামের মানুষ তাদের কৃষি উৎপাদনের জন্য এ খালের উপর নির্ভরশীল। খালটি দখল হয়ে গেলে কৃষি কাজসহ প্রায় দশ গ্রামের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় হোসেন আলী জানান, কয়েকশত বছরের পুরনো এ খাল দিয়ে নৌকার বহর নিয়ে সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ্। ঐতিহাসিক এ খালটি দখল হয়ে গেলে কয়েক গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী আলাউদ্দিন জানান, শামীম মিয়া জোরপূর্বক খালটি দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে। তাকে বাধা দিতে গেলে সে সাধারন মানুষের উপর হামলাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়। তাই তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। খালটি দখলমুক্ত করতে আমরা ২৪ মার্চ সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে শামীম জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে যাতায়াতের জন্য খালে বালু ভরাট করে রাস্তা করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাপনার কাজ বন্ধ করে সাত দিনের মধ্যে খালটি অবমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাল অবমুক্ত না করলে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
