• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
‘নুসরাতকে এখনই সিঙ্গাপুরে পাঠানো সম্ভব নয়’

অগ্নিদগ্ধ ননুসরাত জাহান রাফি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘নুসরাতকে এখনই সিঙ্গাপুরে পাঠানো সম্ভব নয়’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীতে দুর্বৃত্তদের আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনই সিঙ্গাপুরে পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সিঙ্গাপুরে যেতে হলে মেয়েটিকে দীর্ঘ সময় বিমানে থাকতে হবে। কিন্তু তার যে শারীরিক অবস্থা, তাতে এত দীর্ঘ ভ্রমণ তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরাই তার যথাসাধ্য চিকিৎসা করব। মেয়েটির বাবা ও ভাইকে ডেকে কথা বলেছি। তারা আমাদের চিকিৎসায় সম্মতি জানিয়েছে।

এর আগে সোমবার নুসরাতের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বোরকা পরা চার নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে ওই ছাত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। দগ্ধ ছাত্রীর বাড়ি সোনাগাজী পৌরসভার চরচান্দিয়া গ্রামে। সে আলিম পরীক্ষার্থী।

এ বিষয়ে দগ্ধ ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, আমার বোন সকালে আলিম আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যায়। এ সময় তাকে ফুঁসলিয়ে অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাদে নিয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার নিজ কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। আরেকটি অংশ তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads