• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কঙ্কাল নিয়ে ছাত্রলীগে সংঘর্ষ: রাজশাহী আইএইচটি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কঙ্কাল নিয়ে ছাত্রলীগে সংঘর্ষ: রাজশাহী আইএইচটি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৯

কঙ্কাল বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, ছাত্ররা মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছেড়েছেন। আর ছাত্রীদের বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচটি কর্তৃপক্ষের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আইএইচটিটির একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় ১১ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী অবস্থা আরও অবনতি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস বন্ধ ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে ডিপ্লোমা কোর্স জানুয়ারি-২০১৯–এর অবশিষ্ট মৌখিক পরীক্ষাসমূহ এবং বিএসসিসহ ডিপ্লোমা কোর্সের সকল বর্ষের ক্লাসসমূহ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

অধ্যক্ষ ফারহানা হক জানান, পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় ইন্সটিটিউট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএইচটি’র শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তৃতীয় বর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের দুই নম্বর গ্যালারিতে কঙ্কাল বিক্রি জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এই তিনজন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামানের অনুসারী।

সেখানে সভাপতির অনুসারী প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ওই তিন শিক্ষার্থীর কথা–কাটাকাটি হয়। তিন শিক্ষার্থী বেরিয়ে চলে আসেন। তারা সভাপতির কাছে মীমাংসার জন্য যান। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের আহত কর্মীদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের পাঁচজন ও সভাপতির পক্ষের একজন।

সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের পাঁচজন হচ্ছেন ছাত্রলীগ কর্মী ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলাম, ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসমাউল হোসেন, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি সরকার, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও আল আমীন ও ফিজিও থেরাপি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জ্যোতি সিদ্দিক।

এরমধ্যে নাফিউল ইসলাম ও আসমাউল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আসমাউলের মাথায় ২৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক।

সভাপতির পক্ষের আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় সভাপতিসহ আটজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া আহত শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলামের মা শরীফা বানু বাদী হয়ে একই ঘটনায় অপর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেখান থেকে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে মামলা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads