• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
অধ্যক্ষের কুকীর্তির প্রতিবাদ ও শাহাদাতের প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় নুসরাতকে হত্যা

নুসরাত জাহান রাফি

ফাইল ছবি

জাতীয়

অধ্যক্ষের কুকীর্তির প্রতিবাদ ও শাহাদাতের প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় নুসরাতকে হত্যা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৯

অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার কু-কীর্তির প্রতিবাদ ও শাহাদাতের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি (১৮) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই প্রধান বনোজ কুমার মজুমদার।

তিনি জানান, নুসরাত জাহান রাফিকে পরিকল্পনা করে আগুন দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আসামি নূর উদ্দিন। জবানবন্দিতে তিনি জানায়, অপারেশনে বোরখা পরিহিতের মধ্যে ওই মাদরাসার দুই জন ছেলে আর বাকি দুইজন মেয়ে ছিল।

চারজনের মধ্যে শাহদাত হোসেন শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর শম্পা বা চম্পা নামে যে ছিল তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনার চারদিন পর বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads