• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘আটতলার শর্টসার্কিট থেকে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘আটতলার শর্টসার্কিট থেকে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৯

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ৮ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগ নিয়ে করণীয় নির্ধারণ এবং দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বপ্রস্তুতি সম্পর্কে এক আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক শ্রীলঙ্কার নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরো ৭০ জন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৮ তলা থেকে ওপরের দুটি ফ্লোর ৯ ও ১০ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধোঁয়ার কারণে ভবনটির ১১, ১২ ও ১৩ তলায় বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অভাব ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণের সময় ফায়ার সার্ভিস থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছ, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আজ আমাদের বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরাও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’

দেশে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনার জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন উল্লেখ করে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের উপকরণের অভাব রয়েছে। আমরা প্রথমে এক হাজার কোটি টাকার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ক্রয় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা এবং বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনার পরে আমরা দেখছি এই বাজেটে হবে না। কারণ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়। বিশ্বে যে পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে, সেগুলো ক্রয় করতে গেলে আরো বড় বাজেটের প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এনামুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় এবং টর্নেডোতে সারা দেশে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব এলাকায় আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, টিন এবং নগদ টাকা বরাদ্দ করেছি। আজকের বৈঠকে দেশে দুর্যোগের কারণে যাতে কৃষিতে প্রভাব না পড়ে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ও সাইক্লোন থেকে উদ্ধারের জন্য আমরা ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ৫৫০টি মুজিব কেল্লা তৈরির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২২০টি সাইক্লোন সেল্টারের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যায় ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads