• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন

বিটিটিএফ ফেয়ার উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৯

দেশের ঐতিহ্যবাহী পর্যটনকেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যসহ পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থানগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নবম বাংলাদেশ ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০১৯ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। বাসস

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলো বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানান।বিদেশি পর্যটকরা আমাদের অতিথি উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, তারা যাতে নির্বিঘ্নে এবং আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারেন এবং বাঙালি আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, যা আজ বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নের অগ্রপথিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই পর্যটনশিল্পের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়ানোর লক্ষ্যে অন অ্যারাইভল ভিসা প্রাপ্য দেশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ মিশনগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।

ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য ‘ঢাকা দি ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরনের মেলা ইতিবাচক অবদান রাখবে। এছাড়া উন্নত হবে বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, বিকশিত হবে পর্যটনশিল্প এবং সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, এফবিসিসিআই, পর্যটন পুলিশ, পিএটিএ বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের সহযোগিতায় ট্যুর অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে।

মেলায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এতে বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস ও টোয়াব পরিচালক (ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার) মো. তাসলিম আমিন শোভন প্রমুখ।

পরে রাষ্ট্রপতি হামিদ মেলায় বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন।

মেলায় ১৬০টি স্টল ও ১৫টি প্যাভেলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads