• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
এক মাসে তিন সহস্রাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

খিলগাঁও মালিবাগ রেললাইনের সহস্রাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

এক মাসে তিন সহস্রাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৯

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীর উদ্ধার অভিযানে এক মাসে তিন হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এই অভিযানে জব্দ হওয়া মালামাল নিলামে বিক্রি হয়েছে চার কোটি পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার টাকায়। জরিমানা আদায় হয়েছে আরো তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। অভিযানে মোট ৩০ কার্যদিবসে ৩ হাজার ১৭৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্ত হয়েছে নদীর তীরের দখল হওয়া ৮১ একর জায়গা। প্রথম দুই দফায় ২৪ কার্যদিবসের অভিযানে উচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৮৪৬টি স্থাপনা। এ সময় আবাসিক স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙা পরে। যাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, দুদকের আইনজীবী, রাজউকের ঠিকাদার, বিটিসিএলসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বড় বড় স্থাপনা বিলীন হয়ে যায় অভিযানে। যা পুরোপুরি অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্ব এখনো চলমান। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার তুরাগ নদের তীরের কামারপাড়া সংলগ্ন মাছিমপুর মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। অভিযানে নদ দখল করে গড়ে তোলা ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে ১১টি একতলা পাকা ভবন, ১০টি আধাপাকা স্থাপনা, ২০টি টিনের ছাউনি, পাঁচটি গোডাউন, ৪৫টি টিনের ঘর, সাতটি সীমানা দেয়াল ও ছয়টি বালুর গদি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, এই অভিযানে নদের চার একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। জব্দ মালামাল নিলামে তুলে ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্য ফিরিয়ে দিতে ড্রেজিংয়ের কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। যার মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads