• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
দুইটি টার্মিনাল হবে পায়রা বন্দরে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে চুক্তি সই

দুইটি টার্মিনাল হবে পায়রা বন্দরে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৯

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় পায়রা বন্দরের জন্য দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ছয়টি বার্থসহ কমপক্ষে দুটি টার্মিনাল নির্মাণ এবং ১০ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতার চ্যানেল সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে কোরিয়ার তিন কোম্পানির (জয়েন্ট ভেঞ্চার) সঙ্গে পায়রা বন্দরের সঙ্গে এ সংক্রান্ত এক চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তিতে সই করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জিয়ং লানোহ, দায়েং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক দায়ে জিনকিম ও হেরিম আর্কিটেক্টস অ্যান্ড প্লানার্স কোম্পানি লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার ইউন স্যাংজু।

 চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরামর্শকের কাজগুলো একটি একক টিমের সঙ্গে কয়েকটি সাব-টিমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পানি লিমিটেড (লিড পার্টনার), দায়েং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (পার্টনার) এবং হেরিম আর্কিটেক্টস অ্যান্ড প্লানার্স কোম্পানি লিমিটেড (পার্টনার) মূল পরামর্শক এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সিমবায়োটিক আর্কিটেক্টস সাব-পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজকে দুইটি ফেজে ভাগ করা হয়েছে। ডিজাইন ফেইজ এবং সুপারভিশন ফেইজ। ডিজাইন ফেইজ অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের প্রতিটি অঙ্গের পরিকল্পনা প্রণয়ন, ডিজাইন, ড্রইং, প্রাক্কলন, টেন্ডার ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন ইত্যাদি প্রস্তুত করবে। সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও আনুষাঙ্গিক কাজ সুপারভিশন করবে সুপারভিশন ফেইজ। পরামর্শক কাজের চুক্তিমূল্য ৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চুক্তি সইয়ের পর কাজ সম্পন্ন করার সময় ৩৬ মাস। ডিজাইন ফেজের জন্য ৬ মাস এবং সুপারভিশন ফেজের জন্য ৩০ মাস সময়।

নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘পায়রা প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এবং ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প। আশা করি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজটি ঠিকভাবে করবে যাতে পায়রা বন্দর দ্রুত অপারেশনে যেতে পারে।’

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একটি ‘ভোরের পাখি’ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় স্লোপ প্রোটেকশনসহ জেটি; ইউটিলিটি সার্ভিস এবং ইয়ার্ড সুবিধাসহ টার্মিনাল; অস্থায়ী জেটি এবং বিদ্যমান পানি উন্নয়ন বোর্ড রোড পুনঃনির্মাণ; মেরিন ক্রাফ্ট এবং ইয়ার্ড ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়; ছয়-লেন বিশিষ্ট সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘের পোর্ট এক্সেস রোড এবং ছয় লেন বিশিষ্ট মিডিয়াম সেতু (৫২০ মিটার) এবং প্রায় ১ হাজার ৫০ মিটার দীর্ঘ ছয়-লেন বিশিষ্ট রিভার ক্রসিং ব্রীজ নির্মাণ করা হবে ।

সরকার পায়রা বন্দরের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় স্বল্প পরিসরে বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে বহিঃনোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে বিভিন্ন নৌ-রুটের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করা হচ্ছে। দেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের ফলে বন্দরের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন করেন।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads