• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিশেষ ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

শ্রীলঙ্কা ট্র্যাজেডি

বিশেষ ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার কারণে বিশেষ ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর প্রথমবারের মতো বিশেষ জরুরি ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী। দেশটির প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করেন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান।

তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হবে। যেসব নিরাপত্তা কর্মকর্তা হামলার ব্যাপারে আগেই গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল, তারা এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেনি। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিরিজ বোমা হামলার তথ্য আগে থাকার পরও তা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হেমাসিরি ফার্নান্দো এবং পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট  সিরিসেনা।

হামলার পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে প্রেসিডেন্ট বলেন, নিরাপত্তা খাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। সাবেক সেনা কমান্ডার দয়া রত্নায়েককে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। গত ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।

এক দশক আগে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর এবারই প্রথম এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো দেশটি। সামরিক বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে জরুরি বিশেষ ক্ষমতা। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে কোনরকম পরোয়ানা ছাড়াই তারা তল্লাশি ও আটক অভিযান চালাতে পারবে। আদালতের শুনানি ছাড়াও আটকে রাখতে পারবে দুই সপ্তাহ। গৃহযুদ্ধ অবসানের পর থেকে সামরিক বাহিনীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ আত্মঘাতী হামলাকারী জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে দেশটির তদন্তকারীরা। তাদের সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। নয়জন আত্মঘাতীর মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, নয় আত্মঘাতীর মধ্যে এক নারীও ছিল। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এর কিছু সময় পর শ্রীলঙ্কার হামলাকারী পরিচয় দিয়ে তাদের নেতা বাগদাদির কাছে ৮ ব্যক্তির আনুগত্যের শপথ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে তারা। পুলিশের দাবি, তারা ১০ দিন আগেই ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতের হুমকির ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads