• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
 ক্ষমা চাইলেন শমী কায়সার

শমী কায়সার

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি

 ক্ষমা চাইলেন শমী কায়সার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

ফোন চুরির ঘটনায় সাংবাদিকদের আটকে রেখেছিলেন অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে অর্ধশত সংবাদকর্মীকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আটকে রেখেছিলেন তিনি। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মীরা সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করেন। কয়েকজন সাংবাদিক অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলেও সম্বোধন করেন তারা।

তবে পরে অন্য একজনের কাছে ফোন পাওয়া যাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান শমী কায়সার।

তবে চোর বলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা। গতকাল বুধবার প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের। ঘটনাটি ঘটার আগে সেখানে নিজ বক্তব্য শেষ করে চলে যান বিশেষ অতিথি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি ও চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনকালে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ তিনি বুঝতে পারেন তার স্মার্টফোন দুটি নেই। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিষয়টি উপস্থিত সবাইকে জানান। তিনি বার বার ফোনের নাম্বার দুটিতে কল করেছিলেন। সচল থাকলেও ফোন রিসিভ করছিলেন না কেউ।

এরপর শমীর কথায় মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের আদেশ দেন উপস্থিত সবার দেহ তল্লাশি করতে। সাংবাদিকরা সম্মতি প্রকাশ করলেও কেউ কেউ মনক্ষুণ্ন হয়ে চলে যেতে চান। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ‘চোর’ সম্বোধন করেন।

এ সময় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সংবাদকর্মীরা। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হয় তাদের।

পরে টেলিভিশন সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি চুরি করে পকেটে পুরে নিয়ে যাচ্ছেন। এর পরপরই সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

শমী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে, যা অনিচ্ছাকৃত। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে সেখানে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads