• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রমজান উপলক্ষে খেজুর-ফলের দাম চড়া

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

রমজান উপলক্ষে খেজুর-ফলের দাম চড়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৯

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। পবিত্র এ মাসে ইফতারের সময় খেজুর ও ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের পসরা সাজিয়েছেন। দামও বেশ চড়া। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা জাতের খেজুর নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশি-বিদেশি ফলে ভরপুর বাজার।

দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আনারস, কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, পেয়ারা, শসা, পেঁপে, বেল, সফেদা, জামরুল ও লিচু। বিদেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, নাশপাতি, আম। আরো রয়েছে বাহারি খেজুর। বিক্রেতারা জানান, কয়েক দিন ধরে ফল বেচাকেনা বেড়েছে। তবে রমজান উপলক্ষে খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে দামও বেড়েছে। তবে ক্রেতারা জানান, রোজার আগেই শুধু খেজুর নয়, সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। ৫০০-৬০০ টাকার নিচে কোনো ভালো খেজুর নেই। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ডালিম ছিল ২৩০-২৪০ টাকা। কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আপেল ১৫০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সব ধরনের ফলেরই দাম বেড়েছে।

রোজায় ইফতারে অন্যতম প্রধান খাদ্য খেজুর। দেশের বাজারে নানা ধরনের খেজুর বিক্রি হচ্ছে, যার সিংহভাগই আমদানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আজুয়া, আনবারা, আমবার, মাবরুম, বরই, মরিয়ম, সুগায়ি, কাঁচা খেজুর,  খুরমা। মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০-১৬০০ টাকায়। সাধারণ খেজুরের কেজি ২০০-২৫০ টাকা। বরই খেজুর ৬০০-৮০০ টাকা। আমবার ১২০০-১৪০০, মরিয়ম ৮০০-১০০০, খুরমা ২০০-২৫০, আলজারেয়ার খুরমা প্যাকেট ৫০০ গ্রাম ২৫০, প্যাকেট করা জাবেল ২৫০, প্যাকেট করা খালাস খেজুর ৩৫০ টাকা। তিউনিসিয়ার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। 

মান ও জাতভেদে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ২০০-৫০০ টাকা। থাইল্যান্ডের আমের কেজি ৪০০-৫০০ টাকা। আনারস আকারভেদে প্রতিটির দাম ১৫-৬০ টাকা। লিচু প্রতি শ ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেয়ারার কেজি ৮০-১৩০, সাদা আঙুর ২৬০, কালো আঙুর ৪০০, ফুজি আপেল ১৬০, সাদা আপেল ১৭০-১৮০, কালো আপেল ১৬০, নাশপাতি ২৫০-২৮০ ও মাল্টা ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন কলা প্রকারভেদে ৫০-১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলা ১০০-১৫০, সবরি কলা ৭৫-৯০ , চিনিচাঁপা কলা ৬০-৮০ টাকায় ডজন বিক্রি হচ্ছে। বেল প্রতিটি ৪০-৭০, বাঙ্গি ৮০-২০০,  তরমুজ ১৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads