• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীর মরদেহ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীর মরদেহ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীর মরদেহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০১৯

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় তার মরদেহ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সুবীর নন্দীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।

প্রিয় গায়ককে শেষবারের মতো দেখতে শহীদ মিনারে ঢল নেমেছ হাজারো জনতার। ভক্ত, শ্রোতা আর সহকর্মীরা এসেছেন তাদের প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখার জন্য।

একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী বাংলাদেশ সময় গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আজ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে সুবীর নন্দীর মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর ঢাকার গ্রিনরোডের বাসায়। সেখান থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেলা ১১টায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

এরপর সুবীর নন্দীর মরদেহ রামকৃষ্ণ মিশনে নেওয়ার কথা আছে। সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। ১৮ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে।

বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছিলেন অধ্যাপক সামন্তলাল সেন। তিনি বলেন, ‘বারবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর, সেইসঙ্গে সুবীর নন্দীর মাল্টিপল অর্গান ফেইলিউর হচ্ছিল।’

সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই সুবীর নন্দীকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার। বেতার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তাঁর অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের জন্য চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।

দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম সুবীর নন্দীর গান প্রকাশ হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।

সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো—ও আমার উড়াল পঙ্খি রে, কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়, চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন, বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি, একটা ছিল সোনার কইন্যা, কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, আমি বৃষ্টির কাছ থেকে, দিন যায় কথা থাকে, আশা ছিল মনে মনে ইত্যাদি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads