• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে মাথাপিছু আয় মাসে ৩,৯৪০ টাকা

ফাইল ছবি

জাতীয়

দেশে মাথাপিছু আয় মাসে ৩,৯৪০ টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ মে ২০১৯

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের চূড়ান্ত ফলাফলে উঠে এসেছে দেশের একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা আয় করেন। আর প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা।

আগের ছয় বছরের ব্যবধানে মাসিক মাথাপিছু আয় ও পরিবারের আয় দুই ক্ষেত্রেই বেড়েছে। ২০১০ সালে এ দেশের একজনের প্রতি মাসে আয় ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে ব্যক্তির গড় আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। আর পরিবারের আয় বেড়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এই আয় কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের একক আয় নয়। সব মানুষ ও পরিবারের আয়কে মানুষ ও পরিবার প্রতি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার বিবিএস এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের জাতীয় হিসাব শাখার পরিচালক জিয়া উদ্দীন আহমেদ, খানা আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকল্পের পরিচালক দিপংকর রায়।

জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৬ সালে এ দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিবিএস প্রক্ষেপণ করেছে যে ২০১৮ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে হতদারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে। ২০১৮ সালে তা আরো কমে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬ সালের পর বিবিএস আর কোনো খানা আয় ও ব্যয় জরিপ করেনি। এই বিষয়ে কৃষ্ণা গায়েন বলেন, এর আগে প্রাথমিক ফলাফল দেওয়া হয়েছিল। এখন চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়া হলো। প্রাথমিক ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফলের খুব বেশি পার্থক্য নেই।

এ দেশের মানুষ আয়ের কত অংশ কোথায় খরচ করেন- একটি পরিবার প্রতি মাসে ভোগ ব্যয়ে খরচ করে ১৫ হাজার ৪২০ টাকা। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ এখন যত আয় করেন, তার অর্ধেকের বেশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্য কিনতে খরচ করে থাকেন।

জরিপের ফল অনুযায়ী, খাদ্যপণ্য কিনতে এ দেশের মানুষ আয়ের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ খরচ করেন। এ ধরনের চিত্র প্রথমবারের মতো পাওয়া গেছে। অন্য খানা আয় ও ব্যয় জরিপগুলোতে দেখা গেছে, আয়ের অর্ধেকের বেশি খরচ করতে হতো খাদ্যপণ্য কিনতে। যেমন, ২০১০ সালে জরিপ অনুযায়ী, আয়ের ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ খরচ করতেন খাদ্যপণ্যে। এর আগের জরিপে অর্থাৎ ২০০৫ সালে আয়ের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ খরচ হতো খাদ্যপণ্যে। অবশ্য মানুষের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যপণ্যের চেয়ে অন্য পণ্যে বেশি খরচ করে থাকেন। আয় ও ভোগ ব্যয় বাড়লেও মানুষের ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমেছে। এ দেশের মানুষ খাবারের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ২২১০ ক্যালরি গ্রহণ করে। ২০১০ সালেও ২৩১৮ ক্যালরি গ্রহণ করত।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসছে। এখন ভাত খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। জরিপের ফল অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি দৈনিক গড়ে ৩৬৭ গ্রাম ভাত খায়। ২০১০ সালে দৈনিক ৪১৬ গ্রাম ও ২০০৫ সালে ৪৪০ গ্রাম ভাত খেত। তবে মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি, ডাল খাওয়া বেড়েছে। কমেছে ফল ও দুধ খাওয়া। কৃষি পেশার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এ দেশের ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মজীবী কৃষির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাকিরা অন্য খাতের পেশায় আছেন। ছয় বছর আগে কর্মজীবীদের ৩৬ শতাংশের মতো কৃষি খাতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads