• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
নদী সীমানা নির্ধারণে ব্যয়বহুল খুঁটি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

নদী সীমানা নির্ধারণে ব্যয়বহুল খুঁটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০১৯

রাজধানীর চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর সীমানা নির্ধারণে আবারো সীমানা খুঁটি বসাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার খুঁটি বসানো হবে, যাতে ব্যয় হবে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, এসব সীমানা খুঁটি ১০০ বছর পর্যন্ত টিকবে। তিনি জানান, নদীর সীমানা নির্ধারণে ১০ হাজার খুঁটি বসানো হবে। যার প্রতিটির মূল্য হবে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

আরিফ উদ্দিন জানান, প্রতিটি সীমানা খুঁটি কমপক্ষে ৩০-৩৫ ফুট মাটির নিচে থাকবে, যা আরসিসি ঢালাই করা থাকবে। মাটির ওপরে দৃশ্যমান হবে খুঁটির ১৬ ফুট। নদীর দুই তীরে প্রায় ২২০ কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে দশ হাজার সীমানা খুঁটি স্থাপনের কথা রয়েছে। তিনি জানান, নদীর ১১০ কিলোমিটার এলাকার দুই পাড় মিলে ২২০ কিলোমিটারে দশ হাজার সীমানা পিলার বসতে পারে। যেহেতু আমরা অনেক বড় বড় সীমানা এবং দীর্ঘস্থায়ী পিলার বসাচ্ছি, সেহেতু ঘন ঘন না বসালেও হবে। ফলে সে সংখ্যাটা কিছুটা কমেও আসতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএর এই কর্মকর্তা বলেন, সীমানা পিলার হওয়ার পর পিলার ঘেঁষে ওয়াকওয়েও নির্মাণ করা হবে। এজন্য আগামী এক মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরপরই কার্যাদেশ দেওয়া হবে।

পুরো কাজটি বিআইডব্লিউটিএ তদারকি করবে বলে জানান সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক। তিনি বলেন, শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে সীমানা খুঁটি বসাতে পারবে না।

গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা অভিযানটি তিন পর্বে পরিচালিত হয়। প্রতি পর্বে ১২ কার্যদিবস হিসেবে তিন পর্বে মোট ৩৬ কার্যদিবস অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ।

তিন পর্বে চালানো অভিযানে নদী তীরভূমি দখল করে গড়ে তোলা ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোটবড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যদিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরো ৫ কোটি ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায়ের কথা জানায় বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক। অভিযানে বাধা দেওয়া ও অবৈধভাবে নদী দখলের কারণে ২২ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলাও করে সংস্থাটি।

পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্যতা নদীকে ফিরিয়ে দিতে নদীতে ড্রেজিং করার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। যার মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads