• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রী-সন্তানদের আগেই বাড়ি পাঠাচ্ছে অনেকে

ছবি :সংগৃহীত

জাতীয়

স্ত্রী-সন্তানদের আগেই বাড়ি পাঠাচ্ছে অনেকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৯

ঈদুল ফিতরের এখনো অনেক দিন বাকি। শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকেট বিক্রি। ভিড় লেগে রয়েছে ট্রেন ও বাসের টিকেট কাউন্টারগুলোতে। ঘোষণা দেওয়ার আগেই লঞ্চেরও অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে।  কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকেট না পেয়ে অনেকেই হতাশ মুখে ফিরে যাচ্ছেন।

এ বছর সবচেয়ে বেশি চাহিদা হচ্ছে ৩ ও ৪ জুনের টিকেটের। বাস কাউন্টারগুলো জানাচ্ছে ইতোমধ্যে এই দুই দিনের টিকেট শেষ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই পরিবারের লোকজনকে আগেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। একে তো ঈদের কয়েক দিন আগের টিকেট নেই, তার ওপর পরিজন নিয়ে রাস্তায় যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তাই স্ত্রী-সন্তানদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেক চাকরিজীবী। স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ির উদ্দেশে উঠিয়ে দিতে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস কাউন্টারে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ঈদে নিজের ছুটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তি কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রতি বছরই ঈদ এলে শুনি সড়ক মেরামত করা হয়েছে, যানজট হবে না, পুলিশ থাকবে। কিন্তু যথারীতি ঈদের ২/১ দিন আগে সড়কে যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা বর্ণনাতীত। ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। এবার প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তাই ভোগান্তি থেকে বাঁচতেই আগেভাগেই ওদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।

শুধু ওই ব্যক্তিই নন, অনেকেই ঈদের আগে বাড়ি ফিরছেন। চাকরিজীবীরা নিজে ফিরতে না পারলেও পরিবার পাঠাচ্ছেন। গতকাল রোববার সরেজমিনে বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। কল্যাণপুরে কাউন্টারে ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই ঈদ আসতে আরো দুই সপ্তাহ বাকি। অনলাইনে টিকেট বিক্রি হলেও ন্যাশনাল ও দেশ ট্রাভেলস, আগমনী, এসআর পরিবহনে যেন যাত্রীর কমতি নেই।

প্রায় সব বাসের কাউন্টারেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। হানিফ পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের বাবুল মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকেট বিক্রি করছি গাবতলীতে। কিন্তু একই সময় এ কাউন্টার বাদে বাকি সব কাউন্টারে নিয়মিত যাত্রীরা টিকেট কিনছেন। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যার পর নিয়মিত যাত্রীদের সংখ্যা বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads