• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আজ থেকে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

আজ থেকে ৬৫ দিন বঙ্গপসাগরে সকল মাছ ধরা বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আজ থেকে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

  • বরগুনা (সদর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৯

মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ সোমরা (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।  ইলিশের জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সফল হওয়ায় এই পথে এগুচ্ছে সরকার।

প্রজ্ঞাপনটিতে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সময় বঙ্গোপসাগরের কোনো স্থানেই যান্ত্রিক এমনকি ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা দিয়েও মাছ আহরণ করা যাবে না। এসময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধের কারণে যাতে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকেও নজর দিচ্ছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কার্ড দেওয়া হবে। যে কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা সরকারের কাছ থেকে রেশনিং সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া নানা সহায়তা দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসের তৈরি করা তালিকায় বর্তমানে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪৪ হাজার ৪’শ ৪০ জন। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলে আছে পাথরঘাটা উপজেলায়। পাথরঘাটায় নিবন্ধিত জেলে আছে ১৪ হাজার। এসব জেলেরা রেশনিংয়ের আওতায় আসবে। তবে পাথরঘাটা উপজেলায় জেলের সংখ্যা হবে ২০ হাজার।

সাগরে ইলিশ ধরতে যাওয়া উপজেলার প্রায় সব এলাকার জেলেদের ট্রলার ঘাটে অবস্থান করেছে। গতকাল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস অবতরন কেন্দ্র (বিএফডিসি) বরগুনার পাথরঘাটায় দেখা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিছু জেলেরা সাগরে থাকলে তারাও সাগর থেকে ঘাটের উদ্দেশ্যে ফিরছেন বলে জানা গেছে। এ সময় জেলেদের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ বছর ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় উপজেলার ২০হাজার জেলেদের না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে বলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ ফিসিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরি গোলাম মোস্তফা বলেন, ইলিশের মৌসুম থাকে ১৫০ দিন তার মধ্যে আশ্বিনে বন্ধ থাকে ২২ দিন। এবার যদি বন্ধ থাকে ৬৫ দিন তাহলে মোট বন্ধ থাকে ৮৭ দিন। এতো বন্ধ থাকলে জেলে পরিবারগুলোকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। জেলায় আনুমানিক ৫৫ হাজার জেলে রয়েছে কিন্ত নিবন্ধন আছে প্রায় ৪৫ হাজার। তার দাবী, ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে বাকি জেলেরা খাবেকি ?

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের পার্শবর্তী কয়েকটি দেশেও সাগরের মৎস্য আহরণের ওপর এই ধরনের আইন রয়েছে। এর আগে জাটকা নিধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ইলিশের প্রজনন হার বেড়েছে। এই অভিযানেও অবশ্যই সফলতা আসবে। এই দীর্ঘ সময়ে মানুষ কিভাবে সাগরের মাছ খাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাগরের মাছে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে, নদী এবং পুকুরের মাছের পুষ্টিগুণও প্রায় একই। তাছাড়া বাংলাদেশের মাত্র দুই ভাগ মানুষ সাগরের মাছ খাওয়ার সুযোগ পান। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে না। বরং এর সফলতায় তারাই উপকৃত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads