• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ২০ প্রস্তাব

ছবি : সংগ‍ৃহীত

জাতীয়

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ২০ প্রস্তাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর ঈদ আনন্দ যাত্রায় সড়ক ষংর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালুর দাবি জানান তিনি। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে মনে করে সংগঠনটি। এই জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০ দফা প্রস্তাবনা অনুসরণের দাবি জানানো হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো-

১. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা, ২. মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা, ৩. গার্মেন্ট ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা, ৪. টোল প্লাজার সবকটি বুথ চালু করা ও দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা, ৫. মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা, ৬. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭. মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিং মুক্ত করা, ৮. অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, ৯. অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করা, ১০. ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ১১. লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা, ১২. বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা, ১৩. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পথচারী সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যাবস্থা রাখা, ১৪. ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা, ১৫. ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা, ১৬. যাত্রা বিরতিকালে খাবার হোটেলে যাত্রীসাধারণ যাতে মানসম্পন্ন সাশয়ীমূল্যে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা, ১৭. দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ১৮. অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকেপড়া যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা রাখা, ইফতারির সুবিধার্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা, ১৯. জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়ান গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা, ২০. সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads