• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সুস্থ হয়ে আলেম হতে চায় আলম

শিশু আব্দুল আলম

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

সুস্থ হয়ে আলেম হতে চায় আলম

  • সোহেল আহমদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

যে চোখে স্বপ্ন দেখে বড় হবার। স্বপ্ন দেখে লেখাপড়া করে একজন দ্বীনে আলেম হওয়ার। স্বপ্ন দেখা চোখ গুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে চিকিৎসার অভাবে। চোখে এমন একটি অজ্ঞাত রোগে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূগছে মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল আলম। বয়স তার সাড়ে ৮ বছর। এ বয়সে শিশুরা যখন আনন্দময় শৈশবকে উপভোগ করে। স্বাভাবিকভাবে শৈশবের চঞ্চলতাকে উপভোগ করতে চায় আরও ৮/১০টি শিশুর মতো। ঠিক তখনই দুই চোখে এই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মিরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছোট ছেলে আব্দুল আলম।

আব্দুল আলম হযরত বড়পীর (র.) দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। চিকিৎসকরা বলছেন, তার একটি অপারেশন করলেই সে সুস্থ হবে। অপারেশনে ব্যয় হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার। বাবা হারা দুই বোন দুই ভাইসহ পাঁচ জনের অসহায় এ পরিবারের এতো টাকা বহণ করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসার খরচ বহণ করে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে। তাই পরিবারটি এখন মেনে নিয়েছে তাদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলের এমন নিয়তি।

মঙ্গলবার আলমের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, আলমের জন্মের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয় আলম। এরপর থেকে অনেক চিকিৎসা করানো হয়। কয়েক বছর আগে মাথায় অতিরিক্ত পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি অপারেশন করা হয়। এরপর চোখের রোগটি কিছুটা কমে গেলেও পরে ধীরে ধীরে চোখ দুটি বড় হতে থাকে। যত সময় যাচ্ছে চোখ দুটি ততই বড় হতে চলেছে। সিলেটে অনেক ডাক্তারের পরামর্শ নেয় আলমের পরিবার। ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসা নিতে ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলে ডাক্তাররা একটি অপারেশন করলে ঠিক হবে বলে জানান। তবে চিকিৎসকরা জানান, যত দিন যাচ্ছে চোখ ততই বড় হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যায় ততই ভালো হবে। দেরি করলে চোখ দুটি আর ঠিক নাও হতে পারে। আবার এ রোগে মস্তিস্কে প্রভাব পড়তে পারে। অপারেশনে ব্যয় হবে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা। সম্বলহীণ পরিবারের এতো টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয় বলে তারা পরিবারের চঞ্চল এ ছোট্ট আলমের নিয়তিকে দায়ী করে বসে আছেন।

আব্দুল আলমের সাথে কথা বললে সে জানায়, সে ভালো হতে চায়। আর বড় হয়ে সে একজন বড় হুজুর (দ্বীনে আলেম) হতে চায়। মাদ্রাসার শিক্ষক হতে চায়। সে ক্রিকেট খেতে ও সাঁতার কাটতে ভালোবাসে। কিন্তু চোখের জন্য পারে না।

আলমের মা রাশিয়া বেগম বলেন,  চিকিৎসায় শিশু আলমের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ করা তার পরিবারের পক্ষে বড় বোঝা। তাই তিনি সামাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads