গুদামে গুদামে কৃষকের ধান, বাঁচে কৃষক বাঁচে প্রাণ- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার শেরপুরেও অতি দারিদ্র কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা হতে শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদ, খামারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ গ্রামের কৃষকেরা। প্রথম দিন খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও আবু সাঈদ এক টন করে দু’জন কৃষকের কাছ থেকে দুই টন ধান সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া উপজেলায় যেসব কৃষকদের কৃষিকার্ড রয়েছে তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাষিদের দাবি অনুযায়ী বাজারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে কেনা হচ্ছে এ ধান।
শেরপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদ জানান, শেরপুর উপজেলায় মোট ৬৩৫ টন ধান, ২ হাজার ২৫৭ টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৫৯২ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজারের চেয়ে পাঁচ ভাগ আদ্রতা কমে ১৪ ভাগ আদ্রতার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন। এরইমধ্যে বেশ সাড়াও পাওয়া গেছে।
ধান বিক্রি করে খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও আবু সাঈদ জানান, ধান বিক্রি করে বাইরের বাজার থেকে দাম বেশি পেয়েছেন। গ্রামে পাইকাররা ধান মণপ্রতি মোটা-চিকন ভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে কিনছেন। ফলে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। আর এখন সরকারের কাছ থেকে মণপ্রতি ধানে এক হাজার ৪০ টাকা পেয়েছেন। যেখান থেকে এক টন কাছে যদি সব ধান এ দামে বিক্রি করতে পারি, তবে লোকসানের কোনো শঙ্কা নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার ন্যায্য মূল্য দিতে অতি দারিদ্র্য কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা হতে সরাসরি ধান ক্রয় শুরু করেছেন। সরকারিভাবে ধানের দাম ২৬ টাকা ও চালের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার আপনাদের লোকসানের কথা চিন্ত করেই এ ব্যবস্থা করেছেন।
