• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দিনাজপুরে খাদ্য গুদামগুলোতে তীব্র জায়গা সঙ্কট

ফাইল ছবি

জাতীয়

দিনাজপুরে খাদ্য গুদামগুলোতে তীব্র জায়গা সঙ্কট

  • মো. শাহাদৎ হোসেন শাহ, দিনাজপুর
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৯

তীব্র জায়গা সঙ্কট দেখা দিয়েছে দিনাজপুরের সরকারি খাদ্য গুদামগুলো। সরকারি খাদ্য গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতার প্রায় ২ হাজার টন কম খাদ্যশস্য আগে থেকেই মজুদ রয়েছে। আবার চলতি বোরো মৌসুমে ৯৩ হাজার ৮৩১ টন চাল ও ৫ হাজার ৪৮ টন ধান কেনা হবে। তবে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলছেন, নতুন কেনা চাল ও ধানের গুদামজাত করতে কোনো সমস্যা হবে না।

জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার সরকারি ২৫টি এলএসডি ও ১টি সিএসডি গুদাম রয়েছে। গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা আছে প্রায় ৮৭ হাজার টন। কিন্তু এর আগে থেকে ২৫টি এলএসডি ও ১টি সিএসডি গুদামে ৮৫ হাজার ৩৮৮ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বারো মৌসুমে ৯৩ হাজার ৮৩১ চাল ও ৫ হাজার ৪৮ টন ধান কেনা হচ্ছে।

২৬টি সরকারি গুদামে প্রায় ২ হাজার টনের জায়গায় ৯৮ হাজার ৮৭৯ টন খাদ্যশস্য কিভাবে গুদামজাত করা হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংশয়।

দিনাজপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, আগে থেকেই অনেক বেশি খাদ্যশস্য গুদাম রয়েছে।  তবে বর্তমান যে খাদ্যশস্য মজুদ করাতে কোনো সমস্যা হবে না।

খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে দিনাজপুরের ২ হাজার ৪৭৯টি মিল মালিক খাদ্য বিভাগের সঙ্গে ৯৩ হাজার ৮৩১ টন চাল সরবরাহের চুক্তি সম্পাদন করেছেন। ২ হাজার ৩৫৪টি অটো ও হাসকিং মিল ৮৫ হাজার ৪৭ টন এবং ১২৫টি অটো ও হাসকিং মিল ৮ হাজার ৭৮৪ মেট্রিক টন আতপ চাল সরবরাহ করবেন।

সরকার চলতি বছর প্রতি কেজি ধানের দাম ২৬ টাকা,  প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও প্রতি কেজি আতপ চালের দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।

চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৫১৩ টন, বিরলে ৩৬৮ টন, বোচাগঞ্জে ২৫৩ টন, কাহারোলে ১৬১ টন, বীরগঞ্জে ৪৩৩ টন, খানসামায় ১২২ টন, চিরিরবন্দরে ৫৪১ টন, পার্বতীপুরে ৭০০ টন, ফুলবাড়ীতে ৪৩৩ টন, বিরামপুরে ৪৭৫ টন, হাকিমপুরে ২১৫ টন, নবাবগঞ্জে ৫৪৩ টন এবং ঘোড়াঘাট উপজেলায় ২৯১ টন ধান কেনা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads