গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নার্সের ভুল ইনজেকশন পুশের শিকার গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নির এখনো জ্ঞান ফেরেনি। জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে।
মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।
মুন্নির বড় ভাই হাসিবুল হাসান রুবেল জানান, এখনো লাইফ সাপোর্টে (আইসিইউ) আছে মরিয়ম সুলতানা মুন্নী। ডাক্তার বলেছেন, ৭২ ঘন্টার আগে কিছু বলা যাবে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ডাঃ তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক ডা.ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শনিবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, পিত্ত থলির পাথরজনিত কারণ মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স ওই ছাত্রিকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
