• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনালেন শাহারিয়ার কবির

বগুড়া নার্সিং ইন্সটিটিউটে মুক্তিযোদ্ধের গল্প শোন অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনালেন শাহারিয়ার কবির

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৯

বগুড়া নাসিং ইন্সটিটিউটে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহারিয়ার কবির শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান।

শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রণাঙ্গন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হানাদার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্বর নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন। এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বিপুল আত্মত্যাগ তুলে ধরার সঙ্গে তাদের ওপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর স্বাধীনতা বিরোধীরা যে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছিলো তা তথ্যসমৃদ্ধতায় উল্লেখ করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন’শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক একটি কর্মসুচী।

মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় যোদ্ধাদের ষ্মরণে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র যৌথ ভাবে শিক্ষার্থীদের এই গল্প শোনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বগুড়া নার্সি ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এই আয়োজনে শিক্ষার্থী নার্সরা অংশ নেন। এতে প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র সমন্বয়ক এটিএম রাশেদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখন নার্সিং ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষক মোস্তারী নুর। শাহারিয়ার কবির রনাঙ্গনের বিভিন্ন র্মমস্পর্শী ঘটনা এবং বীরঙ্গনাদের অতুলনীয় আত্মত্যাগের কথা বলেতে গিয়ে নির্যাতিত নারীদের অনেক অপ্রকাশিত ঘটনার ওপর আলোকপাত করেন। এসময় শ্রোতাদের চোখের পনি গড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় বীরঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি, নারীদের মর্যদা বাড়িয়ে দিয়েছে। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পৃথীবীর আর কোন দেশে এত বেশি সংখ্যক নারী শিশু নির্যতিত হয়েছিলো কি না তা জানা নেই। বক্তারা স্বাবীনতা বিরোধী চক্রের বিষয়ে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন লুকিয়ে থাকলেও তারা যে কোন সময় কুৎসিত ভাবে ফিরতে কুন্ঠা বোধ করবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads