• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে খুশির ঈদ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। এখানে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদুল ফিতরে প্রায় এক লাখ মুসল্লি জাতীয় এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন। সে লক্ষ্যে এখন চলছে পূর্ণ প্রস্তুতি।

সরেজমিন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানের মাটি কেটে সমান করার কাজ করছেন শ্রমিকরা। গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এখানকার মাটি সমান এবং গাছগুলোতে রং করার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান অধিদপ্তরের কার্যকরী সহকারী নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সরদার অ্যান্ড সন্সের কয়েকজন প্রতিনিধি। মূলত ঈদগাহের প্যান্ডেল তৈরি, শামিয়ানা ও ত্রিপল স্থাপন এবং ঈদগাহের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ প্রস্তুত করা এবং নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার কাজগুলো অনেকগুলো সংস্থা মিলে করে থাকে। আর প্রত্যেকেরই কাজ নির্দিষ্ট করে ভাগ করা আছে। আমরা সিটি করপোরেশন শুধু প্যান্ডেল তৈরি, শামিয়ানা ও রেইন প্রুফ কাভার অর্থাৎ ত্রিপল, মোবাইল টয়লেট স্থাপন এবং ঈদগাহের ভেতরে ও বাইরের এলাকার সার্বিক সৌন্দর্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। নিরাপত্তার কাজ করবে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মাইকিংয়ের কাজ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়; এভাবে প্রস্তুত করা হয় ঈদগাহ ময়দান। আবার আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ঈদের জামাত আমাদের তত্ত্বাবধানেই হবে। এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে, তাহলে জামাতের বিষয়টি আবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে চলে যায়। তখন সাধারণত সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জামাত আয়োজনে নিজেদের প্রস্তুতির বিষয়ে ডিএসসিসির এই প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অংশের কাজ সম্পন্নের জন্য এরই মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে (পিয়ারু সরদার)। দুই দিন আগে তারা কাজ শুরু করেছে। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমাদের এখানে সাধারণত ৮০ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করেন। এবার ৮৪ থেকে ৯০ হাজার পুরুষ মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজার নারী মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও ২৫ হাজার ৪০৩ বর্গমিটার আয়তনের এলাকার ওপর ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিন হাজার ৫৫ বর্গমিটার আয়তনের ওপর শামিয়ানা দিচ্ছি।

এদিকে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, ঈদগাহের জামাত বিষয়ে আগামী রোববার নগর ভবনে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা হবে। ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন সভায় সভাপতিত্ব করবেন। বেশ কিছু বিষয়ে সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads