• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
লিখিত পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে না : বিএসএমএমইউ

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

চিকিৎসক নিয়োগ

লিখিত পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে না : বিএসএমএমইউ

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুন ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার বা ফল পুনর্মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে একই হলে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া বা ফল পুনর্মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। স্থগিত মৌখিক পরীক্ষা তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।’

তিনি বলেন, ওই সভায় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শুরু করা। দ্বিতীয়টি ভাঙচুরের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। এই দুই সিদ্ধান্তই অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানান ভিসি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সার্বিক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। লিখিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র খোলা হয়েছে—শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। মডারেটররা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সবকিছু সম্পন্ন করেছেন। পরীক্ষার্থীদের বয়স নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা-ও সত্য নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত বয়সের দুজনকে আবেদন করতে দেখেছি আমরা। একজনকে প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। ফলাফল ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়ে গেছে—এমন অভিযোগের কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সুযোগবঞ্চিত আন্দোলনরত চিকিৎসকরা এক সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত ও ১১ জুন রাতে হওয়া মামলা প্রত্যাহার না করা হলে শনিবার থেকে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে যাবেন তারা।

বিএসএমএমইউতে ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক নিয়োগে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ মার্চ। পরীক্ষায় অংশ নেন আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক। কিন্তু ১২ মে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক চিকিৎসক।

তাদের অভিযোগ, নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে ফলাফল টেম্পারিং করা হয়েছে। এরপর গত ৯ জুন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লাঠিপেটার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ১১ জুন মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়।

কনক কান্তি বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করার বিষয়েও সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই এই কমিটি করা হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads