• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই করব

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই করব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে আগের মতোই জনকল্যাণমূলক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেট এক কথায় বলব জনকল্যাণমুখী। এটি আমাদের টানা ১১তম বাজেট। নতুন সরকারের প্রথম বাজেট। বাজেটে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল বিকেলে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের একদিন পর গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাধারণত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে খুঁটিনাটি তুলে ধরে থাকেন অর্থমন্ত্রী। তবে এবার বাজেট উপস্থাপনের দুদিন আগে থেকে জ্বরে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী। ফলে গত বৃহস্পতিবার বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এরপর গতকাল অতীতের সব নজির ভেঙে বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাজেটের নানাদিক তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন আহ্বান করেন তিনি। সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের শিরোনামে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

শুরুতেই তিনি বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ। তাই গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমি বাজেট উপস্থাপন করি তার পক্ষে। আজ (গতকাল) তাই সংবাদ সম্মেলনেও এসেছি। তবে আমার সঙ্গে আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রয়েছেন। তিনি থাকাতে আমি সাহস পেয়েছি। আমাদের এবারের বাজেটে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে আমরা আমাদের নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই করতে চাই। কারো মুখাপেক্ষী থাকতে চাই না। আগে আমরা বিদেশে গেলে আমাদের ভিক্ষুক মনে করা হতো। এখন আমার মাথা উচু করে কথা বলি। এটা হচ্ছে আমাদের বড় অর্জন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের দিকে আমাদের নজর থাকবে। বাজেট যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, সে দিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে।    

বাজেট নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব : নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সমালোচনাকে ‘ভালো না লাগা পার্টির অসুস্থতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ মানুষ এই বাজেটে খুশি কি না, বাজেটে তাদের উপকার হচ্ছে কি না, সেটাই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কে কী বলল তা বড় নয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ‘বাজেট পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠানে বলা হয়, দেশের মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তের মানুষ নয়, যারা ধনী এবং ‘অর্থনৈতিক অপশাসনের সুবিধাভোগী’, তারাই নতুন অর্থবছরের বাজেট থেকে সুবিধা পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে, যাদের একটা মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কাজই করেন, তারা কোনো কিছু ভালো খুঁজে পায় না। যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়, তখন তারা কোনোকিছুই ভালো দেখে না। সবকিছুতেই কিন্তু খোঁজে।

গবেষণা করে তারা কী আনতে পেরেছেন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। তো সেটা ভালো। এত সমালোচনা করেও আবার বলবে- আমরা কথা বলতে পারি না। এ রোগটাও আছে। এটা অনেকটা অসুস্থতার মতো।

বাজেট নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কথা হচ্ছে, দেশের সাধারণ জনগণ খুশি কি না। সাধারণ মানুষগুলো ভালো করতে পারছি কি না। এটা হচ্ছে বড় কথা। আমরা যা করছি, তার সুফলটা কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। আর এই ভালো না লাগা পার্টি যারা, তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে একটি বাংলা কৌতুকের কথাও মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। ‘একটা গল্প আছে না, পড়াশোনা করছে ছেলে, পাস করবে না; পাস করার পরে বলল চাকরি পাবে না; চাকরি পাওয়ার পর বলল বেতন পাবে না; বেতন পাওয়ার পরে বলল বেতনের টাকায় চলবে না। তো উনাদের সেই অসুস্থতা।’

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে, উন্নত করতে, সমৃদ্ধিশালী করতে এবং স্বাধীনতার সুফল যেন দেশের মানুষের ঘরে পৌঁছায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এবং আমরা মনে করি, সেই লক্ষ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সর্ববৃহৎ বাজেট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সরকারের বিগত দুই মেয়াদে ১০ বছরের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার মাধ্যমে জনগণের মাঝে আমাদের প্রতি আস্থা বেড়েছে। তার প্রতিফলন ঘটেছে গত ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে।

সুদ হার নিয়ে যা বললেন : ব্যাংক ঋণের এক অংক সুদ হার ব্যাংক মালিকরা কার্যকর করেনি প্রশ্নে ব্যাংকগুলোকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি, যাতে সুদটা সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সুবিধাও দিয়েছি। কিন্তু অনেক বেসরকারি ব্যাংক সেটা মানেনি। এবার বাজেটে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঋণের সুদ যেন ডাবল ডিজিটে না হয়। তাহলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। বেশি আর চক্রবৃদ্ধি সুদ হতে থাকলে মানুষ ব্যবসা করতে পারবে না। এদিকটাতে আমরা বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক আইন আমরা সংশোধন করব। সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ : দেশে কর্মসংস্থান আছে বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেক পত্রিকায় দেখেছি ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তারা অনেক বেশি টাকা চায়। শ্রমের যে মূল্য বেড়ে গেছে, কারণ তাদের ডিমান্ড বেড়ে গেছে। আজকে বেকার লোকের অভাব আছে বলেই তো মূল্য বেড়েছে। সেটাও একটু বিবেচনা করে দেখেন।

একজন সাংবাদিক জানতে চান, ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার যে ৩ কোটি মানুষকে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, সেখানে এখন সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতি বছর গড়ে ৭-৮ লাখ মানুষ চাকরি পায়। যদি ১১ বছর ধরি সে হিসাবে ৮৮ লাখ মানুষ হয়। এক কোটিও হয় না। তাহলে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান কীভাবে সম্ভব? এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেওয়ার কথা বলিনি। ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছি, শিক্ষার কথা বলেছি, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আমরা চাই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ট্রেনিং নিক। নিজের কাজ নিজে করার একটা সুযোগ পাক। মূলত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এখন কিন্তু আছে। আছে বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। লোক পাওয়া যাচ্ছে না কেন? যদি এত বেশি বেকার থাকে তাহলে ধান কাটলে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পাবে। সঙ্গে তিন বেলা খাবার। দুই বেলা খাবে এক বেলার খাবার বাড়ি নিয়ে যাবে। তারপরও কেন লোক পাওয়া যাচ্ছে না? এটা কি একবারো বিবেচনা করেছেন? যেহেতু কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে, তাই ধান কাটার লোকের অভাব।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কর্মসংস্থানের কথা বললেই সবার ধারণা হয়ে যায় চাকরি দেওয়ার কথা। ১৬ কোটি মানুষকে কি চাকরি দেওয়া যায়? পৃথিবীর কোনো দেশ দেয়? আর কোনো মানুষ কি একটা চাকরি নিয়ে বসে থাকে সারা জীবন। মানুষ যাতে কাজ করতে পারে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করাই কর্মসংস্থান। আমার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি বা প্রতিনিয়ত প্রজেক্টগুলো করছি। একটা প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে কত মানুষের কাজ হবে, চাকরি হবে। তারা নিজেরা সেখানে কাজ করতে পারবেন, চাকরি হবে। কাজেই আপনার ওই অঙ্ক তো ভুল। সরকারি চাকরির হিসাব করলে তো কর্মসংস্থান হলো না। আপনাকে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, যাতে নিজের কাজ নিজে করতে পারেন, পাশাপাশি অন্যের কাজেরও ব্যবস্থা হবে। সেটাই আমরা বলতে চাইছি।

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ : বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তারও বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ না দিলেও সে অর্থ কোনোদিন অর্থনীতিতে ঢুকবে না। এসব অর্থ কোথায় আছে আমরা কেউ জানি না। তাই বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে মূলধারার অর্থনীতিতে গিয়ে আসতে হবে। এজন্য নিয়মিত করের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর আরোপ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই সুযোগ না দিলে অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যেতে পারে। তবে এতে সৎ ব্যক্তিদের নিরুৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদেরও সুরক্ষা দেবে সরকার। কালো টাকার স্তূপ যেন না জমে, তা যেন কাজে আসতে পারে, সে জন্যই এই সুযোগ।

সোনালি যুদ্ধ : সোনার বাংলা গড়ে তোলার যুদ্ধকে সোনালি যুদ্ধ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্য যে যুদ্ধ, সেটাই সোনালি যুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য যে যুদ্ধ, সেটিই সোনালি যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কোনো অকল্যাণের যুদ্ধ নয়।

মিডিয়ার মালিকদের সমালোচনা : বিভিন্ন মিডিয়ার মালিক কে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং তা শোধ করেননি- সেই খোঁজ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সুযোগ দেব তারা যেন টাকা শোধ করে দেন। তবে কোন টিভি ও পত্রিকার মালিকের কাছে ব্যাংক কত টাকা পাবে সেটি নিয়ে কেন লেখা হয় না।

কৃষকদের প্রণোদনা : কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হয় বলে কৃষকের খরচ কম। প্রায় সব খরচ সরকারই দেয়। কৃষকের দেখভাল আমরা করছি বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

অনলাইন পত্রিকা নিয়ে বিরক্ত : দেশে অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ এজেন্সি নিয়ে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিউজপোর্টালগুলো নিবন্ধনের ওপর তাগিদ দিয়েছেন। এজন্য বিশদ নীতিমালার কথাও বলেছেন। একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের এক সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা জানতে চান, এই নিউজপোর্টাল নিবন্ধিত কি-না। এ সময় তিনি বলেন, নিবন্ধন ছাড়া অনলাইন পত্রিকা চলতে পারে না। যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে। এগুলো নিবন্ধন করতে হবে। পরে উত্তর দেব।

সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads