• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালি অধ্যায়’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালি অধ্যায়’

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৮ জুন ২০১৯

ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের আন্তরিকতায় দুই দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে এসেছে। এটিকে আমরা সোনালি অধ্যায় বলি। গতকাল সোমবার দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্রমে বাড়ছে। এদেশে ভারতের অনেক শিল্পকারখানা আছে। তারা এদেশে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। মোংলা ও মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ভারতের জোন থাকবে। মাস্টারদা সূর্য সেনসহ অনেক কারণে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাষা, কৃষ্টি, ম্যান টু ম্যান যোগাযোগ ইত্যাদি দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করছে।

নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একাত্তরে যখন এদেশে পাকিস্তানিরা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন অকৃত্রিম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল ভারত। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।

ভারত-বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সড়ক, নৌ, রেলপথের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ৯৮ শতাংশ কনটেইনার এ বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়।

চেম্বার সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১০০ ইকোনমিক জোন করছে। মিরসরাইয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। যেখানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ভারতের ব্যবসায়ীরা এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পারবেন। আশা করি তারা লাভবান হবেন। সভায় বক্তব্য দেন সিসিসিআই সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার এম ফখরুল আলম, জাপানের অনারারি কনসাল মো. নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, চেম্বারের পরিচালক এ কে এম আকতার হোসেন, সৈয়দ ছগীর আহমদ, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তৈয়ব, আলী হোসেন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সহসভাপতি ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ।

ব্যবসায়ী নেতারা ভারত বাংলাদেশের নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার, ট্রানজিট কার্গো মুভমেন্ট, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads