• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ জুন ২০১৯

আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর ৩১ মে দিবসটি পালিত হলেও অনিবার্য কারণে তা পিছিয়ে এবার ২০ জুন পালিত হচ্ছে। ১৯৯৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো এ দিবসটি উদযাপন করে আসছে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়; সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়।’ গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। এ উপলক্ষে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হূদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপান। হূদরোগের কারণ হিসেবে উচ্চরক্তচাপের পরেই তামাক ব্যবহারের অবস্থান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত হেলথ বুলেটিনের তথ্যমতে, জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১.৩ শতাংশ। বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর কারণের তালিকায় হূদরোগ ৭ম স্থান থেকে ১ম স্থানে উঠে এসেছে এবং এই পরিবর্তনের হার ৫২.৭ শতাংশ। আর এই মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে তামাকের অবস্থান ৪র্থ।

বাংলাদেশ তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো মনে করে, বিগত দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে এফসিটিসি স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং আইন সংশোধন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। জনস্বার্থে দেশে আইন ও বিধিমালা প্রণীত হলেও কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন আরো অগ্রগতি। তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি পদক্ষেপে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবেলা করণীয় নির্ধারণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি ।

‘ইউনাইটেড ফোরাম অ্যাগেইনস্ট টোব্যাকো’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’-এর অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী একটি গবেষণা প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩ ভাগ (২ কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২ ভাগ (২ কোটি ৫৯ লক্ষ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, তামাক খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সরকারকে স্বাস্থ্য খাতে তার দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। তামাকজনিত মোট ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করলে তা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads