• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কোনো অজুহাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে স্তিমিত না হয়: গৃহায়নমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কোনো অজুহাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন স্তিমিত না হয়: গৃহায়ন মন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৯

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, কোনো অজুহাতে যাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্তিমিত না হয়ে যায়। ইতোমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনেক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়াতে হবে।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তর মিলনায়তনে অধিদপ্তরের সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক পরিশ্রম করেন। তার কোনো ক্লান্তি নেই, কেনো কাজে অনীহা নেই। কোন অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে কোনভাবে তার সম্পৃক্ততা নেই। এরকমের একটি পরিশ্রমী রাষ্ট্রব্যবস্থায় আজ আমরা রয়েছি।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করছেন। অনেকেই পূর্বের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। আপনাদের কর্মকাণ্ডে, আচার-আচরণে অনেক গতি ফিরে এসেছে। স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা ফিরে এসেছে। আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা, জনমুখী ওীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার জায়গাটাকে আরো ত্বরান্বিত করতে হবে। আমাদের কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে। দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ সবার সামনে নিয়ে আসতে হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা ব্যতিক্রম আনতে চাই। প্রথাগত জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আধুনিক, যুগোপযোগী, পরিবেশসম্মত, ঝুঁকিমুক্ত, সাধারণের আনন্দমুখর বিচরণ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা এখন থেকে নিতে হবে।

পরে মন্ত্রী অধিদপ্তর চত্বরে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সেবা সপ্তাহের (২৩ থেকে ২৭ জুন) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির।

এর আগে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন প্তর-সংস্থার বার্ষিক কর্মস্পান চুক্তি ২০১৯-২০২০ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর-সংস্থাকে জনবান্ধব করতে চাই। সকল বিভাগে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে চাই। একজন মানুষও যেনো আমারে মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থায় সেবা নিতে এসে টাকার কারণে আটকে না থাকে, ঠুনকো অজুহাতে যেনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দপ্তর/সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর এর প্রধানগণ বার্ষিক কর্মসম্পান চুক্তি ২০১৯-২০২০ সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads