• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সংসদ এলাকায় কবর চান এরশাদ

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

সংসদ এলাকায় কবর চান এরশাদ

সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জাপা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় সংকটাপন্ন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবন। তাকে সুস্থ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে চলছে ভিন্ন প্রস্তুতিও। তার শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য দলটির নীতিনির্ধারকরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। জাপার সিনিয়র নেতারা গতকাল বুধবার যৌথসভা করেছেন। সভায় নেতার জানিয়েছেন, আলাপকালে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন মৃত্যুর পর তার কবরস্থান যেন জাতীয় সংসদ এলাকার আশপাশে হয়। সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবিও রেখেছেন তিনি। কিন্তু ওই এলাকায় জাতীয় পার্টির কোনো জায়গা নেই।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটির শীর্ষনেতারা। গতকাল দুপুর ৩টা থেকে শুরু হয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথসভাটি চলে আড়াই ঘণ্টা। সভায় এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও এরশাদের কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সভায় দেশের বাইরে থেকে ভালো চিকিৎসক আনা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হয়। সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ এরশাদের কবরস্থানের জায়গা কেনার জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সভায় জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আজ (গতকাল বুধবার) সকালে আমি সিএমএইচে গিয়েছিলাম। তিনি আমার কণ্ঠ শুনে চোখ ও হাত নাড়িয়েছেন।

গত বিকালে জাপার যৌথসভার বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতারা এরশাদের কবরস্থান নিজস্ব কেনা জায়গায় পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মতামত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম দাবি করেন, এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন। সভায় পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করে বলেন, এরশাদ দেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে পারবেন না।

সূত্র জানায়, সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুর আদাবরে জায়গা কিনে কবর দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আদাবর না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেব। সেখানে কবর দেওয়া যেতে পারে। এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি টাকা দেব। যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেওয়া হয় তাহলে যাবতীয় খরচও বহন করব। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এম এ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, আজম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads