• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
এখনো শঙ্কামুক্ত নন এরশাদ: জিএম কাদের

ফাইল ছবি

জাতীয়

এখনো শঙ্কামুক্ত নন এরশাদ: জিএম কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৯

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, এরশাদ এখনো শঙ্কামুক্ত নন।

আজ সোমবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘এরশাদের সার্বিক শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। কৃত্রিমভাবে পল্লীবন্ধুর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। ফুসফুস কিছুটা কাজ করছে, তাই অল্প অক্সিজেন দেওয়াতেই শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে।

তিনি জানান, ভেন্টিলেশনের মাধ্যমেই এরশাদকে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের ফাংশনটা ভালোভাবে চলছে না।

জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, সকাল ১১টায় আমি সিএমএইচে তাকে দেখতে গিয়ছিলাম। দেখলাম তিনি খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। একটি মেশিন দিয়ে তার ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে।

তিনি জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার বেশকিছু ইন্ডিকেটর উন্নতির দিকে। তবে সেটি যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে উন্নতি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সিএমএইচে নেওয়া হয়। তবে এ সময় তিনি হাসপাতাল এবং বারিধারার বাসায় আসা-যাওয়া করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা ধরা পড়ে। দুই দফায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে এলেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। এই দফায় সিএমএইচে ভর্তি হলে এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি হলে ২৬ জুন রাতে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

গত ৩০ জুন স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরশাদের ‘মৃত্যুর গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে। মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এবং অখ্যাত অনলাইন পোর্টালে তার মৃত্যুর সংবাদও প্রকাশ করেছে।

এরপর গত বৃহস্পতিবার এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সামনে সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন এরশাদ। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। গত ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান। পরে ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ভোটের পর শপথ নেন আলাদা সময়ে গিয়ে। সেদিনও স্পিকারের কক্ষে হাজির হয়েছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। ২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে এখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র এক দিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads