• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।’ ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে আগামী ১২-১৪ নভেম্বর কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘নাইরোবি সামিট’। এই সামিটের সামগ্রিক প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। সাড়ে ১০টায় ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ১৯৯৪ সালে যেখানে মাত্র ১৫ শতাংশ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করত, বর্তমানে তা বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গর্ভকালীন বা প্রসবকালে মাতৃমৃত্যু হার বর্তমানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ২৫ বছর আগে স্বল্প আয়ের দেশে একজন নারী কমপক্ষে ৬টি সন্তান জন্ম দিত। বর্তামানে তা চারের নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এসব অর্জন সত্ত্বেও কায়রোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে এবং সে সঙ্গে গতিশীলতা বাড়াতে হবে। তা করতে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ তিনটি বিষয় হলো- পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা; প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা; মেয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির প্রবণতা বন্ধ হওয়া।

সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহার বাড়লেও এখনো ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করছে না। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহারের হার ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি হাজারে নবজাতকের মৃত্যু ২২ জন এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ২৯ জন।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা এবং নারীর কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। তবে এখনো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হচ্ছে বাংলাদেশেই। ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাই প্রধান চ্যালেঞ্জ- বলছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল-ইএনএফপিএ।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিল-ইউএনএফপিএ’র স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী বিশ্বে মোট জনসংখ্যা সাত দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৭৪০ কোটি। বিশ্বের এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অধিকারের গুণগত অর্জনের বিশ্লেষণ তুলে ধরে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইউএনএফপিএ রিপোর্ট প্রকাশ করে।

ওই রিপোর্টে বলা হয় প্রতি হাজার জীবিত জন্মে নবজাতক শিশু মৃত্যুহার কমেছে। তবে এখন বছরে সাড়ে সাত লাখ কিশোরী সন্তান জন্ম দেয়। সর্বোপরি শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্নভাবে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় দেশে মোট আয়ের দুই দশমিক শূন্য পাঁচ ভাগ ব্যয় হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

ওই রিপোর্ট থেকে আরো জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চীনে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৫%। এ তুলনায় গত নয় বছরে ভারতে জনসংখ্যা বেড়েছে বছরে গড়ে ১.২%। ২০১৯ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটিতে, যা চীনের চেয়ে মাত্র ৬ কোটি। ২০১৯ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটিতে ও চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪২ কোটিতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads