• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘বাংলাদেশ দেখিয়েছে উন্নয়নই ঘুরে দাঁড়ানোর উত্তম পন্থা’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘বাংলাদেশ দেখিয়েছে উন্নয়নই ঘুরে দাঁড়ানোর উত্তম পন্থা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা বলেছেন, উন্নয়নই যে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনের সবচেয়ে সেরা উপায়, বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কমিশনের চেয়ারম্যান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে মুন ও জর্জিওভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

জর্জিওভা বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন আমি হাইস্কুলের শিক্ষার্থী। তখন থেকেই এই দেশে আসার স্বপ্ন দেখতাম আমি। স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ যেভাবে সাফল্য অর্জন করেছে তাতে আমি মুগ্ধ। মাথাপিছু আয় ১০০ ডলার থেকে বেড়ে ১৫০০ ডলার হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে নামিয়ে আনার পথে ভালোভাবেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এই দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। তবে নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে পেরেছে দেশটি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সামনের দিকে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, নিজেদের অনেক সমস্যা থাকার পরও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত রেখেছে, তাতে আমি অভিভূত। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাই এখানকার মানুষকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় সে উপায় বের করতেই ঢাকাতে এ আয়োজন করা হয় বলেও জানান তিনি। নষ্ট করার মতো সময় আমাদের নেই। যদি জানমাল রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সূচকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ছিল প্রথম স্থানে। কিন্তু এটি এমন একটি স্থান যেখানে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় তার অবিশ্বাস্য উদ্ভাবনী দক্ষতা আমরা এদেশে দেখেছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads