• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশে ঘণ্টায় জন্ম নেয় ৫৪০ শিশু

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বাংলাদেশে ঘণ্টায় জন্ম নেয় ৫৪০ শিশু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২৫০ শিশু জন্মগ্রহণ করে। এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে জন্ম নেয় ৯ শিশু। সে হিসাবে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে জন্ম নেয় ১২ হাজার ৯৬০ শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশ স্বাধীনের পর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগে তুলনামূলকভাবে জনসংখ্যা কম বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। ১৯৫১ সাল অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সময় থেকে গত ৬৮ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ কোটি। ২০৫০ সালে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২২ কোটিতে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩ লাখ। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। ২০৫০ সালে সেটি ২২ কোটিতে উন্নীত হবে। বাংলাদেশে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বগামী। তবে ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করলেও তা প্রত্যাশিত হারে নামেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ৯টি শিশু। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে জন্ম নেওয়া ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম জনবহুল দেশ। ২০৫০ সালে বাংলাদেশ এসে ষষ্ঠ স্থানে দাঁড়াবে।

ইউএনডিপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ৮০০ কোটি, ২০৪৩ সালে ৯০০ কোটি এবং ২০৮৩ সালে ১ হাজার কোটিতে পৌঁছবে।

জাতিসংঘের ধারণামতে, সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলগুলোর জনসংখ্যা অস্বাভাবিক হয়ে বেড়ে যাবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যা হবে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ।

বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী শতাব্দীর গোড়ার দিকে পৃথিবী হবে ১ হাজার ৬৬০ কোটি মানুষের আবাসস্থল। গত এক শতকে (১৯০০-২০০০) বিশ্বে জনসংখ্যা ১৬০ কোটি থেকে ৬১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে জীবনযাত্রার মান ঠিক রাখা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে হিমশিম খেতে হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads