বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ৩৪ হাজার ৭৪৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৪৭টি ও সৌদি এয়ারলাইনসের ৪৮টি ফ্লাইটে গত ৪ জুলাই থেকে ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত এক সপ্তাহে তারা সৌদি আরব পৌঁছান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ আগস্ট হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৬৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রী ৯৫টি ফ্লাইটে সেখানে গেছেন। সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিস মক্কার কাউন্সিলর মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে মক্কার মৌসুমি হজ অফিসার, কনসাল (হজ), প্রশাসনিক দল, চিকিৎসক দল এবং আইটি দলের সদস্যরা হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন।
হজ অফিস ও বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে হজযাত্রীদের লাগেজ হারানোর রিপোর্ট হয়েছে ২০৬টি। এর মধ্যে ১৬৪টি লাগেজ খুঁজে বের করা হয়েছে। ১৫৪টি লাগেজ হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৌদি আরবে গত ৬ জুলাই ঢাকা জেলার সেলিম (৫৬) নামে এক হজযাত্রী মক্কার আল-মুকাররমায় ইন্তেকাল করেন। তার পাসপোর্ট নম্বর বিকে-০৫৭৭৫৬৪।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, কোনো ধরনের সংকট, জটিলতা ছাড়াই নির্বিঘ্নে সুষ্ঠুভাবে চলছে হজ অপারেশন। হজযাত্রীদের যাত্রার আট ঘণ্টা আগে অবশ্যই আশকোনা হজ ক্যাম্পে অবস্থান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করব।
উল্লেখ্য, এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। হজ ফ্লাইট শুরু হয় গত ৪ জুলাই। শেষ হবে ৫ আগস্ট। হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আসবে ১৭ আগস্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
