• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সোনালি আঁশের সুদিন ফিরবে

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

সোনালি আঁশের সুদিন ফিরবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৯

সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে দেশের বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। এবার বিদেশের বাজারে এই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে পাটের বাজার রয়েছে সেসব দেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  

এ ব্যাপারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন,  পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে পাটজাত পণ্য বিপণন ও এর বাজার সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  নতুন পণ্য উদ্ভাবন, পাটপণ্য বিপণন ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছে। নতুন পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণাও চলছে। এ ছাড়া পাটপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহের সহযোগিতায় পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও প্রচারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশে পাটের বাজার রয়েছে, তাদের গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনে দ্বিপাক্ষিক কাজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী প্রথমবারের মতো দেশের বার্ষিক রপ্তানি আয় চার হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অর্জন করেছে। কিন্তু পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। গত এক বছরে পাট খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম। অথচ গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) সূত্র বলেছে, প্রায় ৬০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে আমরা পিছিয়ে আছি।

বিশ্বে বাংলাদেশের যত ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির গুরুত্ব অনেক বেশি। তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, পেট্রোলিয়াম খাতগুলোর কাঁচামাল আমদানিসহ কনসালট্যান্সি ফি ও অন্যান্য সেবা বাবদ একটি বড় অংশ আবার বিদেশেই চলে যায়। কেবল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের পুরো অংশই দেশে থেকে যায়। পাট চাষ থেকে শুরু করে পাটজাত পণ্য উৎপাদন প্রতিটি স্তরেই আমাদের শ্রমশক্তি জড়িত। তাই পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে প্রতিটি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারাকে হতাশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, উন্নত বিশ্বের সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি, ডলারসহ বিভিন্ন মুদ্রা মানে অস্থিরতা এবং চীন-মার্কিন পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের পর নীতিনির্ধারকরা পাটের বাণিজ্য নিয়ে নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads