সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শেষবারের মতো কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার একটি লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানে তার মরদেহ কাকরাইলে আনা হয়। শ্রদ্ধা শেষে তার মরদেহ জাতীয় বাইতুল মোকাররম মসজিদে নেওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর তার আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমূখ।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে সংসদ থেকে তাকে বিদায় জানানো হয়।
বেলা সোয়া ১০টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দলে দলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসতে থাকেন। পুরো সংসদ ভবন এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।
গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। এর আগেও তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেন।