• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
 কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ

  • কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৯

কুমিল্লা জেলায় দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। খাল-বিল ও নদীতে এখন আর আগের মতো দেশীয় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা দিনভর মাছ ধরার নানা কৌশল ব্যবহার করলেও ফিরতে হয় খালি হাতে। অনেকে তাই এ পেশা থেকে সরে যাচ্ছেন।

খাল-বিল, জলাশয় ভরাট আর জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে এসব মাছ হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় জেলেরা। অন্যদিকে পরিবেশবিদরা মনে করেন, জলাশয় কমার পাশাপাশি রাসায়নিক সার আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারণেও এমটি হচ্ছে।

কুমিল্লা জেলায় বছরে এখন দেশীয় প্রজাতির দুই লাখ টন দেশীয় মাছ উৎপাদন হয়। যা আগের চেয়ে অনেক কম। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে সরকার বর্তমানে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যার সুফল পেতে অধীর আগ্রহে আছে এ জেলার মানুষ।

কুমিল্লা জেলায় বেশ কয়েকটি নদীর পাশাপাশি রয়েছে খাল-বিল ও জলাশয়। এসব জলাশয়ে একসময় দেশী প্রজাতির শিং, মাগুর ,বোয়াল,কই, টাকি, টেংরা, মলা, মেনি,পুটি, শোলসহ প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেতো। জলাশয়ে ধর্মজাল, ছিটা জালসহ নানাভাবে জেলেরা মাছ ধরতো। এখনো জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরতে গেলেও ফিরে আসে খালি হাতে। তাই বাজারগুলোতেও দেশীয় মাছে আকাল দেখা যায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলার সভাপতি ডাক্তার মোছলেহ উদ্দিন বলেন, জেলেরা জীবিকার তাগিদায় কারেন্ট জাল ব্যবহার, বাশেঁর বেড়াসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে মাছের পোনা ধংস করছে।এসব ব্যবহার কমাতে জেলেদেরকে ভুর্তুকি দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কুমিল্লার আবদুল কুদ্দুছ আকন্দ জানান,   এদিকে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জলাশয় ভরাট। এছাড়াও মা মাছের প্রজনন ও বেড়ে উঠার জায়গার স্বল্পতাও দেশীয় মাছ কমার অন্যতম কারণ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads