• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বস্তিবাসীরাও ফ্ল্যাট পাবে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বস্তিবাসীরাও ফ্ল্যাট পাবে : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আগে আট ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা পেত। এখন পাচ্ছে ৪০ ভাগ। আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি তাতে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বস্তিবাসীরাও ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুযোগ পাবে। গতকাল সোমবার দুপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চারটি এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তিনটিসহ মোট সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, জমি পাবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প করেছি। উত্তরা, ভাসানটেক, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। তারা যেন মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, আবাসন নিয়ে যাতে তাদের চিন্তা করতে না হয়, সে কারণেই এ ব্যবস্থা।

তিনি আরো বলেন, বস্তিবাসীরা বেশি ভাড়া দিয়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় জীবনযাপন করে। আমরা তাদের জন্যও আবাসনের পরিকল্পনা নিয়েছি। তারা দিনের ভাড়া, সাপ্তাহিক ভাড়া, এমনকি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে সেখানে উন্নত পরিবেশে বসবাস করতে পারবে। বর্তমানে সরকারি ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের জন্য চমৎকার ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। এ ফ্ল্যাটগুলো নিজের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করবেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খরচের বেলায় সাবধানী হবেন। অপচয় করবেন না। আপনাদের যে দামে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেওয়া হয়, তার চেয়ে খরচ অনেক বেশি পড়ে। সরকার সেই ব্যয়ভার বহন করে।

আর্কিটেকচার ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকা ও ঢাকার চারপাশে যেসব পুকুর, খাল, লেক, ঝিল ও জলাশয় আছে, সেগুলো ভরাট করে কেউ যদি বিল্ডিং করতে চায় আপনারা সে কাজ করবেন না। আমার অনুরোধ, আপনারা পরিবেশ প্রতিবেশ ঠিক রেখে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করবেন। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের জন্য আধুনিক আবাসনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে। জেলা-উপজেলায় পরিকল্পিত আবাসন না করা গেলে, একসময় কৃষি জমি শেষ হয়ে যাবে। জেলা-উপজেলায় আবাসন গড়ে তোলার জন্য মাস্টার প্ল্যান করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

ইস্কাটন গার্ডেন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সাতটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের আওতায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ১ হাজার ৬৭১টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads