• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
দাফনের ১৪ দিন পর স্কুল ছাত্রী তাসলিমার লাশ উত্তোলন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

দাফনের ১৪ দিন পর স্কুল ছাত্রী তাসলিমার লাশ উত্তোলন

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৯

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে দাফনের ১৪ দিন পর স্কুল ছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমার (১৬) লাশ উত্তোলন করা হয়েছ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কবর থেকে তসলিমার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে কুলাউড়া থানা পুলিশ তসলিমার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে। তাসলিমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী।

স্কুলছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমা (১৭) মৃত্যু নিয়ে নানা বির্তক সৃষ্টি হয় কুলাউড়ায়। মৃত্যুর রহস্য নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হয় মেয়েটির পরিবার। ফলে পুলিশ লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদালতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।

নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবারের দাবি, স্ট্রোক করে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রী তাসলিমার। স্কুলছাত্রীর মুত্যুর পর দ্রুততার সঙ্গে দাফন করে তার পরিবার। এতে সন্দেহ দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে। ধুম্রজাল সৃষ্টি হয় মানুষের মনে। স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন, মৃতদেহের শরীরের গলায় এবং গালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের ধারণা তাসলিমাকে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল কুলসুমা বেগম তাসলিমা। গত ৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে স্কুল ড্রেস পরিহিত ও স্কুলব্যাগসহ তাসলিমা বরমচাল রেলস্টেশন সংলগ্ন কালামিয়ার বাজারের একটি বাসায় প্রেমিক নও মুসলিম আব্দুল আজিজের সঙ্গে দেখা করতে যায়। বিষয়টি বাজারবাসীর সন্দেহ হলে গ্রামপুলিশ কায়ছার মিয়াসহ ব্যবসায়ীরা ওই বাসায় যান। বাসায় গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করার পর ব্যবসায়ীরা গ্রামপুলিশ কায়ছার মিয়াকে দিয়ে তাসলিমাকে মহলাল (রফিনগর) গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক ৫টায় একটি সিএনজি অটোরিক্সায় করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির লোকজন তাসলিমাকে নিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার ফেরত আসে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তাসলিমার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (স্ট্রোক করে) হয়ে মারা গেছেন। পরদিন শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে সকাল ১১ টায় দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads