• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ফাইল ছবি

জাতীয়

অর্থমন্ত্রীর মশার ভয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৯

ঢাকায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে এডিস মশাবাহিত আরেক রোগ চিকুনগুনিয়াও ভুগিয়েছে তাকে। তাই আর পরিকল্পনা কমিশনে নিজের দপ্তরে বসছেন না মুস্তফা কামাল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওখানে বেশি মশা। এ পর্যন্ত দুবার কামড় দিয়েছে, একবার চিকুনগুনিয়া ও আবার ডেঙ্গু হলো। এটা কোনো কথা হলো নাকি?’

গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দুদিন আগে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন মুস্তফা কামাল। বাজেট দিতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে গেলেও কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী তার হয়ে বাজেট উপস্থাপন করেন। পরদিন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনেও ছিলেন না অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীই সেটা সামলেছিলেন।

তখন অর্থমন্ত্রীর ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে ব্যাপক হারে। মধ্য জুনের পর গত এক মাসে অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনাও আছে। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারে বিগত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামালকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে অফিস করা মুস্তফা কামাল নতুন মন্ত্রণালয় পাওয়ার পরেও সেখানেই বসছিলেন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পরিকল্পনা কমিশনের ভবনের দেয়ালসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সচিত্র বিবরণী বেশি দৃশ্যমান হয়।

এখন থেকে সচিবালয়ে অফিস করবেন কি না-জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অফিস এখন দুই জায়গায় করব (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়)। কিন্তু ওখানে বেশি মশা। এ পর্যন্ত দুবার কামড় দিয়েছে, একবার চিকুনগুনিয়া ও আবার ডেঙ্গু। এটা কি কথা হলো নাকি? আমি আর ভয়ে ওখানে যাচ্ছি না। এখানে আসতে দুই ঘণ্টা লেগেছে আজ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম। এখন আর সমস্যা নেই, অসুখ ভালো হয়ে গেছে। চশমা ব্যবহার করে চোখের সমস্যা চলে গেছে।’

টেরাকোটা টাইলস রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে-সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব ব্যবসায়ীকে চিনি। ব্যবসায়ীদেরও আমাকে চিনতে হবে। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশ এগোবে। শতভাগ ব্যবসায়ী সৎ হবেন না। শতভাগ মানুষও সৎ হবেন না। কিন্তু সৎ মানুষও আছে। এই সংখ্যাও কম না।’

অর্থমন্ত্রী এই সময় সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান, এই পদ্ধতিতে যিনি টাকা পাচার করছেন তার সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে কি না? সাংবাদিকেরা এ সময় অর্থমন্ত্রীকে জানান,এসবি এক্সিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শাহজাহান বাবলু নামের এক ব্যবসায়ী এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। শাহজাহানের বাড়ি কুমিল্লায়।

এ সময় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি তিনি (শাহজাহান বাবলু) করে থাকেন, তিনি যেই হোন, যত শক্তিশালী হন, তার বাড়ি যেখানেই হোক, তিনি যদি আমার পরিবারের সদস্যও হন,তবু তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনারা দেখতে পাবেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads