• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

  • গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৯

গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের শ্বশুর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, হিমু পরিবারের সদস্য ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জিয়ারত করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট এবং ফান ম্যাগাজিন উন্মাদের সম্পাদক ও প্রকাশক আহসান হাবিব, তার স্ত্রী আফরোজা আমিন, বোন সুফিয়া হায়দার, রোকসানা আহমেদ, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

এ সময় হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবিব জানান, হুমায়ূন আহমেদের সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তার অনেক স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়েছে। ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণসহ অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তিনি প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখা নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ করেছে। তিনি আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়াম স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাকে নিয়ে একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গবেষণা করছেন। এ আর্কাইভ গবেষণা কাজে সহায়তা করবে।

হিমু পরিবহনের সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, সকালে ঢাকা, ফরিদপুর, নরসিংদী ও গাজীপুর থেকে ৬০ জন হিমু নুহাশপল্লীর কর্মসূচিতে যোগ দেন। হিমুরা একযোগে ৪০ জেলায় তাদের প্রিয় লেখকের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তার মধ্যে বৃক্ষরোপণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা রয়েছে। হিমুদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১০টি জেলা পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।

লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং তার দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিদ দেশের বাইরে থাকায় এবারের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি। শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, শাওন চলচ্চিত্রবিষয়ক ৬ মাসব্যাপী এক প্রশিক্ষণ নিতে নিশাদ ও নিনিদকে নিয়ে গত মে মাসে আমেরিকা গেছেন। এ জন্য তারা এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেনি। তবে শাওন নিউইয়র্কে স্বামীকে নিয়ে একটি স্মরণসভায় যোগ দেবে।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, দিনটি উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে সকাল থেকে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার এতিম শিশু ছাড়াও অতিথিদের দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে মরণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে ২০১২ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেই অবস্থাতেই ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিউইয়র্ক থেকে ২০১২ সালের ২৩ জুন দেশে ফিরিয়ে আনা হয় হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ২৪ জুন সমাহিত করা হয় তার গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads