• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ঢামেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ ভর্তি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

ঢামেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ ভর্তি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৯

রাজধানীসহ সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই (ঢামেক) প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ১৫ জনের মতো রোগী। এসব রোগীর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অন্য্য রোগীদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। হাসপাতলের বারান্দা ও ফ্লোরেও রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আপনারা জানেন, জুন-জুলাই মাসে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। প্রতিবছরই ডেঙ্গু রোগী আসে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি।’

বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে আসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেজন্য অনেকেই ফ্লোরে থাকে। এবার ডেঙ্গু রোগীও অনেক বেশি।’

তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয়। অন্য রোগীর সঙ্গে থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তবে হাসপাতালে যদি এডিস মশা থাকে তাহলে আক্রান্ত রোগীকে কামড়ানোর পর সুস্থ রোগীকে কামড়ালে তার ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার ইউনিটে বর্তমান ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ১০ জুলাই থেকে ৮ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ১৬৯ জন ভর্তি হয়েছে। ফাতেমা (৪৩) নামে আজিমপুরের বাসিন্দা এক রোগী মারা গেছেন। এর আগে গত ২৬ জুন ফরিদপুরের রাবেয়া সরদারের (৫০) মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সারা দেশ থেকেই রোগীরা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। যাদের ছেড়ে দেওয়ার দরকার তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।’

অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রোগটা যেহেতু মশাবাহিত। সেজন্য এই মশা আক্রান্ত রোগীকে মশারি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আলাদা করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তাদের চিকিৎসার কমতি হচ্ছে না।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা হিসাব করে রাখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি সেন্টার) ডা. আয়েশা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ রকম অনেক হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড নেই। যেসব হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড আছে সেগুলোতে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads