খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তার কোনো অভাব নেই। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের প্রতিবেলা খাবার নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন। গতকাল শনিবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবাই বিলের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন স্থানে একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকারিভাবে রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা।
এদিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকা ও কুশিয়ারা নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি। গতকাল উপজেলার কুশিয়ারা নদীতীরবর্তী এলাকা পাহাড়পুর ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীভাঙন পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, কুশিয়ারা নদীর বাঁধ নির্মাণ ও নদী খননের ব্যাপারে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা অচিরেই প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একনেকে উপস্থাপন করব। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটি অনুমোদন করলেই কাজ শুরু করতে পারব। কুশিয়ারা নদীর বাঁধ সংস্কার ও খনন করলে নবীগঞ্জবাসী প্রতিবছর বন্যার জন্য যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা থেকে রক্ষা পাবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে বিবিয়ানা নদীও খনন করা হবে।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্যাকবলিত ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্য যমুনা নদীর পূর্বপাড় বেড়িবাঁধের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরের আগে আমাদের ভাঙনকবলিত এলাকায় পরিদর্শন ও বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে যান। পরিদর্শন শেষে ভূঞাপুর পৌর এলাকার স্লুইচগেট মাঠে এবং গোবিন্দাসী টি রোডে ত্রাণ বিতরণ করেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১ হাজার ৯০৮ টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের শুকনো খাবার বিতরণ করেন।