• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’ পেতে আবেদন আহ্বান

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’ পেতে আবেদন আহ্বান

  • মো. রেজাউর রহিম
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৯

দেশে প্রবহমান নদ-নদীগুলোর দখল ও দূষণরোধ এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহরক্ষায় ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু নদীপদক  দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূলত, দেশের নদ-নদীগুলোকে অবৈধ দখল ও ভরাটমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত ও সহজীকরণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করতে এ পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর অবৈধ দখল রোধ, নদীপাড়ের শিল্পকারখানার বর্জ্য দ্বারা দূষণরোধের পাশাপাশি নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেওয়া হবে। এ ছাড়া নদীর পানি পরিচ্ছন্নকরণ, পরিবেশ দূষণরোধ, নদীরপাড় ও অভ্যন্তরে অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কয়েক মাস ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে প্রবহমান নদীগুলোর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করে আসছে সরকার। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং নদীর পানিকে সেচসহ কৃষি উন্নয়নে যথাযথ কাজে লাগানো এবং নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণও এ উদ্যোগের অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দেশের নদ-নদীগুলোর অবৈধ দখল কঠোরভাবে রোধকল্পে সরকার বদ্ধপরিকর। নদীরক্ষায় এবং নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের নদীগুলোর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনেতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নদীপদক প্রদানের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে পার্টনারশিপ তৈরি এবং দেশের মানুষের মধ্যে নদীরক্ষায় এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি হবে। আগামী ৬ অক্টোবর বিশ্ব নৌদিবসের অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

নৌপরিবহন সচিব বলেন, বর্তমানে ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান চলছে। পর্যায়ক্রমে এ অভিযান সারা দেশে সম্প্রসারণের মাধ্যমে যেকোনো মূল্যে দেশের সব নদীকে অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হবে।     

সূত্র জানায়, নদী ভরাটরোধ, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ রক্ষার কাজে সহায়তা দান, নদীকে নৌচলাচলে উপযোগী করে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নদীকে দূষণ ও অবৈধ দখল ভরাটমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’  দেবে সরকার।  জানা গেছে, ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’ প্রদানের ক্ষেত্রে নদী সুরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ আগস্ট ২০১৯-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে বিশেষ অবদানের জন্য আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, নগদ পঁচাত্তর হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে বিশেষ অবদানের জন্য আঠারো ক্যারেট মানের ৩০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে একটি করে মোট আটটি এবং জাতীয় পর্যায়ে তিনটি পদক দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নদ-নদীগুলোর সুরক্ষা, স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখা এবং পরিবেশ রক্ষায় ইতোমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক নীতিমালা-২০১৯’ অনুমোদন করেছেন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads