• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
দ্রব্যমূল্য কমার লক্ষণ নেই

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

দ্রব্যমূল্য কমার লক্ষণ নেই

# কাঁচামরিচের কেজি ২০০

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৯

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার পাশাপাশি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় শিগগিরই দ্রব্যমূল্য কমার লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ অবস্থায় বিভিন্ন সড়কের পাশাপাশি বন্দরকেন্দ্রিক জটে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। এক মাস ধরেই সড়ক ও নৌ উভয় পথেই একই অবস্থা। ফলে একদিকে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া অন্যদিকে বন্দরে আটকা কাঁচা পণ্য পচে নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যে।  

গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজারে ক্ষুদ্র আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, এখনো ট্রাকের ভাড়া বেশি। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে সারা দেশ থেকে কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন সবজিবাহী ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক আসত, যা এখন ২৫০ থেকে ৩০০টি নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, বন্যার কারণে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ এলাকার ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়েছে। সেসব এলাকা থেকে সবজিবাহী ট্রাক খুব কমই আসছে।

এ ব্যবসায়ী ছাড়াও আরো কিছু ব্যবসায়ীর দাবি, এ বন্যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে। শিগগিরই দ্রব্যমূল্য বিশেষ করে সবজির দাম কমবে না।

এমন পরিস্থিতিতে বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকায় উঠেছে। এতে বেশির ভাগ ক্রেতা আড়াইশো গ্রাম মরিচ ৫০ টাকায় কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সঙ্গে কিছু সবজির কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। তবে বাড়তির বাজারে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মিলছে ৪৫ টাকায়।

গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা এবং শসা ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া উচ্ছে (ছোট করলা), ঝিঙা, ঢেঁড়স, বরবটি, কচুর মুখী, কচুর লতি ও ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে। আর পটোল, কাকরোল, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দর কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কম ছিল।

সবজির মতোই মাসখানেক ধরেই মাছ, মাংস ও ডিমের জন্যও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বন্যার সময় কেন মাছের দাম এত বেশি—জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের বিক্রেতা দিদার মিয়া জানান, বন্যার সময় মাছ কম ধরা পড়ছে। এ কারণে দামও বেড়েছে। পানি কমতে শুরু করলে আবার মাছের সরবরাহ বাড়বে। সে সময় দাম কমে আসবে। এছাড়া কোরবানির সময় চাহিদা কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম একটু স্থিতিশীল থাকলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে কক জাতের মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বাজারভেদে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কক জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়। আর দেশি মুরগি কিনলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত।

গরুর মাংস কিনতে গেলে এখন ৫৫০ টাকার কমে পাওয়া যায় খুব কম জায়গাতেই। তবে দু-একটি বাজারে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ মাংস। এ দর কোরবানির সময়ও অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানান কয়েকজন ব্যবসায়ী।

মাছ-মাংসের দাম যখন চড়া থাকে তখন নির্দিষ্ট আয়ের অনেক ভোক্তাই খরচের সমন্বয় করতে দ্বারস্থ হন ডিমের। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ডিমের বাজারও চড়া। তবে দুদিন ধরে ফার্মের ডিম হালিপ্রতি দুই টাকা পর্যন্ত কমে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads