জাতীয় ডাকটিকিট দিবসের স্মারক ডাক অবমুক্ত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়। তিনি বলেন, জ্ঞানার্জনে ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যাবে গুগলেও তা পাওয়া দুষ্কর। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিট সংগ্রহে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধসহ শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অবদান রাখা মানুষকে নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবের বিষয়। ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকার আটটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে বহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলার অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে। ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা আটটি ডাকটিকিট মুজিবনগর সরকার, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব সত্য প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে মুজিবনগর সরকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধকালে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রকাশিত আটটি ডাকটিকিট ইতিহাসের অংশ হিসেবে আবারো প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বাধীনতার এ গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে ডাক বিভাগের ইতিহাস কেন নতুন প্রজন্মের কাছে জাগরূক রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। গতকাল থেকে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে।