• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জামালপুরে গো-খাদ্যের সংকট, কোরবানির বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা

ফাইল ছবি

জাতীয়

জামালপুরে গো-খাদ্যের সংকট, কোরবানির বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা

  • আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

জামালপুরে বন্যাদুর্গত এলাকায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার ৬২ ইউনিয়ন এখন বন্যাকবলিত। এখনো বেশিরভাগ এলাকায় হাঁটুপানি রয়েছে। এ কারণে পানিতে মাঠ-ঘাট, ফসলি জমি এমনকি চাষ করা ঘাসের জমিও ডুবে গেছে। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে কৃষকের গচ্ছিত রাখা খড়ও। বানভাসিরা রাস্তা, রেলওয়ে স্টেশন, উঁচু স্থান ও বাঁধে গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গো-খাদ্যের সংকটে ক্রমেই গবাদিপশু দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে কোরবানির ঈদে গবাদিপশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক ও খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা জেলায় ২ হাজার ৫০০ গবাদিপশুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ খামার এবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পারিবারিকভাবে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। সারা জেলা বন্যায় আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ গবাদিপশু। এসব গবাদিপশু কোরবানির ঈদে বিক্রির কথা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল, ধর্মকুড়া, জারুলতলা, মেলান্দহ উপজেলার কালীবাড়ি, দুরমুট, জামালপুর সদরের ছোনটিয়া, কেন্দুয়া, নারকেলি, বাগেরহাটা ও ফেরিঘাটে গরুর হাট রয়েছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ওই সব হাটে গত কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই সব হাটে বিক্রির জন্য অনেক গরু উঠেছিল। তবে ক্রেতার অভাব ছিল। যেসব ক্রেতা ছিল, তারা গরুর দাম অনেক কম বলেছে।

গরুপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দাম কমে গেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই সব গরুর বেশির ভাগ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দাম পাওয়ার আশায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ভয়াবহ বন্যায় গরু বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া এলাকার গরুর খামারি কবীর হোসেন বলেন, বন্যায় মাঠের সব ঘাস নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্গত এলাকায় মাঠ–ঘাট ডুবে যাওয়ায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে তাঁর পাঁচটি গরু দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। গরুর মাংস কমে যাওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে বেশি দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।

কবীর হোসেন বলেন, ‘কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। খামারিরা এবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মো. নূরুল ইসলাম বলেন,বন্যাদুর্গত এলাকায় আমাদের অনেক টিম এখনো কাজ করছে। কোথাও গবাদিপশুর মৃত্যু হয়নি। খাদ্যসংকট থাকলেও গো-খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। কোরবানি ঈদে গরুর বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে বেশি একটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads