• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে একাত্ম দেশবাসী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে একাত্ম দেশবাসী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৯

বাঙালির কাছে আবার ফিরে এসেছে বেদনাবিধুর আগস্ট মাস। আজ আগস্টের তৃতীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই মাসে জাতি সপরিবারে হারিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাঙালিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলছিলেন, ঠিক সে সময় স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ঘাতকের বুলেটের নির্মম আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। মুজিব হত্যার এ মাসকে বাঙালি জাতি শোকের মাস হিসেবে পালন করে আসছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো কৃতজ্ঞচিত্তে মাসব্যাপী পালন করা হচ্ছে শোকের নানা কর্মসূচি।

আগস্ট এলেই বাঙালি জাতির মানসপটে যে স্মৃতিটি সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়, তা হলো বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড। ঘাতকরা সেদিন ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই জাতির মানসপটে বিস্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যত আগস্ট এসেছে, জাতির স্মৃতির মানসপটে তিনি ততই গাঢ় থেকে প্রগাঢ় হয়েছেন। আগস্ট এলেই বাঙালি শোকে কাতর হয়ে পড়ে। শুরু হয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার মহাকর্মযজ্ঞ।

শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, গ্রামবাংলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পর্যন্ত শোকের মাসকে স্মরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো জাতি। সর্বত্রই চলছে শোকের আবহ। রাজধানীসহ সারাদেশেই বিশাল বিশাল কালো পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার টানানো হয়েছে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকের মাসের নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করছেন বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাতে নানা স্লোগান ও কবিতা শোভা পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নে একাত্ম মানুষ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়েছে। শোকের মাসে বাঙালি জাতি পলাতক ঘাতকদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা এবং তাদের দোসর ও মদতদাতাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার।

আগস্ট বাঙালির জীবনে শুধু শোকের নয়, একটি অভিশপ্ত মাসও বটে। এ মাসেই ঘটেছিল ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। ঘাতকদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দেশে থাকলে তাদেরও সেদিন জীবন দিতে হতো নরহন্তারক কাপুরুষদের হাতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আজো হত্যাকারী ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ১৯৮১ সালের মে মাসে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার পিছু ছাড়ে না। বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা চলতে থাকে। চলে একের পর এক নগ্ন হামলা।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনার এক সমাবেশে চলে আরেকটি নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। মূলত শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ঘাতকরা ওই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু গ্রেনেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি আবারো প্রাণে রক্ষা পান। তবে নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড প্রাণসংহার করে আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মীর। তাই বর্ষ পরিক্রমায় আগস্ট এলেই সেই রক্তাক্ত স্মৃতিগুলো দেশবাসীর মনের পর্দায় ভেসে ওঠে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads