• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নতুন আকর্ষণ লেমুর

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নতুন আকর্ষণ লেমুর

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

বিশাল খাঁচা। চারপাশ ওপরসহ আটকানো খাঁচায় চারটি লেমুর তিড়িংবিড়িং করছে। লাফিয়ে খাঁচার এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটছে আফ্রিকান প্রাণী লেমুর। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য নতুন আকর্ষণ। বিশেষ করে শিশুরা আনন্দ পাচ্ছে লেমুরের দুরন্তপনায়। অনেকটা রাতের আধারে কারো চোখে ভুত দেখা এক প্রাণীর মত দেখতে এ লেমুর। রাতে মুখে আলো পড়লে ভুতের মত দেখায়। লেমুরের আভিধানিক অর্থ ভুতের মত। ভুতের মত দেখতে বলেই নামকরণ করা হয়েছে লেমুর।

লেমুর আফ্রিকান মাদাগাস্কার গোত্রের প্রাণী। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে লেমুরের খাঁচার সামনে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে চোরাকারবারিদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দুর্লভ প্রজাতির পাখি। এ সময় পাখিগুলোর সঙ্গে আফ্রিকান রিংটেইল প্রজাতির এক জোড়া লেমুরও উদ্ধার করা হয়। পরে এদের পার্কের পশু চিকিৎসালয়ের পাশেই আলাদা কোয়ারেন্টাইন জোনে রেখে পরিচর্যার জন্য রাখে। এরই মধ্যে ওখানে লেমুর দুটি বাচ্চা প্রসব করে। একটি নারী ও অন্যটি পুরুষ বাচ্চা হয়। পরে চারটি লেমুর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় কয়েকদিন আগে। এখন ওই খাঁচায় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে।

আগত দর্শনার্থী আজাদ আল আমিন জানান,  আগেও পার্কে ভেড়াতে এসেছি। ভালো লেগেছে। তাই সুযোগ পেয়ে আবার দুই শিশু সন্তানসহ ঘুরতে এলাম।

তিনি বলেন, এবার ভিন্ন আকর্ষণ হলো লেমুর নামের এ প্রাণীটি। বাচ্চারা বেজায় খুশি লেমুর দেখে। লেমুর খুবই চঞ্চল। সবসময় খাঁচার এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটাছুটি করছে। দর্শনার্থীরাও আলাদা মজা পাচ্ছে।

নারী দর্শনার্থী রেহানা আক্তার বলেন, টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে চ্যানেলে দেখেছি লেমুর। এবার আমাদের দেশে চোখের সামনেই দেখছি লেমুর।

ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান, লেমুর দিনের বেলায় ঘোরাফেরা করলেও ছোট আকারে লেমুর দল বেধে রাতে চলাচল করে। অনেক সময় খাদ্য সংগ্রহের জন্য একা একা চলে লেমুর। ছোট পোকামাকড়সহ বিভিন্ন ফলফলাদি এদের প্রিয় খাদ্য। আফ্রিকার মাদাগাস্কারে ১০০ প্রজাতির লেমুর পাওয়া যায়। রিংটেইল্ড লেমুর গোলাকৃতির লেজের হয়ে থাকে। এরা তৃনভোজী শ্রেণির। লম্বা কালো ডোরা কাটা লেজের লেমুর একত্রে ১২ -১৫ টি দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। এরা পরিবার কেন্দ্রীক জীবনযাপন করে থাকে। পুরূষরাই দলের নেতৃত্ব দেয়।

পার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) তবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশে শুধু গাজীপুর সাফারি পার্কেই লেমুর রয়েছে। এরা এ পার্কে প্রজনন করেছে। রিংটেইল্ড প্রজাতির লেমুর এরা। এখন বাচ্চাসহ চারটি লেমুর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। নেট ঘেড়া বেষ্টনীতে তাদের ছাড়া হয়েছে। একে ভারে ভিন্ন রকমের প্রাণি দেখে আগত দর্শনার্থীরাও বেশ উপভোগ করছে পার্কে বেড়াতে এসে।  আশা করি উপযুক্ত পরিচর্যা পেয়ে আরো বংশবৃদ্ধি করবে লেমুর। ৱ

তিনি জানান, আঙ্গুর আপেল, কমলাসহ বিভিন্ন ফল খেতে দেওয়া হয় লেমুরদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads