• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে শিগগির‌ই

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে শিগগির‌ই

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০১৯

মান্ধাতা আমলের পাসপোর্টের দিন শেষ। আগামী মাসে চালু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে পাসপোর্ট তৈরি ও বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক পাসপোর্টে কাগজপত্রের কোনো সত্যায়নের দরকার হবে না। কোনো ভ্যাট ছাড়াই ই-পাসপোর্টের সর্বোচ্চ ফি ধরা হয়েছে ১২ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ১০০ ডলার ধরা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ৩০ ডলার ধরা হয়েছে। সবক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হবে। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি— এ তিন ক্যাটাগরিতে ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কাগজপত্র সত্যায়নের ঘর উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটচল্লিশ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরমেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতি জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছরমেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার

 টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি নয় হাজার টাকা। এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরমেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতি জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছরমেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি নয় হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, ই-পাসপোর্টে কারো আবেদন ১৮ বছরের নিচে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি), ১৮ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) এবং ১৮ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অবশ্যই লাগবে। ১৮ বছরের নিচে সব আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

ভেরিফিকেশন ও সত্যায়নের ঘর উঠিয়ে  দেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, একজন আবেদনকারীর জন্য এসব অনেক সময় বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। কারণ জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে গেলে এসব প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া তদন্তের নামে পুলিশের অসাধু সদস্যরা আবেদনকারীকে হয়রানি করে থাকে বলেও বিস্তর অভিযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিচারপতির বাসায় গিয়ে উৎকোচ চাওয়ার নজিরও আছে। বিচারপতির পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে। সব বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ই-পাসপোর্টের।

অনলাইনে পূরণ করা যাবে : ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করতে  হবে না। আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে, অথবা পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ফরমটি পূরণ করা যাবে। কোনো ছবি সংযোজন করা এবং তা সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। ১৮ বছর হলে জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া যাবে। তবে ১৮ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads